পড়ুয়াদের আরও স্কুলমুখী করে তুলতে প্রধানশিক্ষকদের কর্মশালা। ফাইল ছবি।
কী ভাবে পড়ুয়াদের আরও স্কুলমুখী করে তোলা যাবে, নিজস্বতা গড়ে উঠবে কী করে— এ সব শেখাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কর্মশালার আয়োজন করছে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন। আগামী ২ নভেম্বর বেলা ১২টা থেকে রাজ্যের স্কুলের প্রধানদের এই ভার্চুয়াল কর্মশালায় হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
পড়ুয়াদের সামগ্রিক বিকাশের লক্ষ্যে শিক্ষকদের কর্মশালার আয়োজন হতে চলেছে। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, মূলত পাঁচটি বিষয়ে পড়ুয়াদের অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। স্কুলে পড়ুয়াদের বিভিন্ন হাউসে ভাগ করে দিতে হবে। অন্তত ৩ বছর কোনও পড়ুয়ার হাউস বদল করা যাবে না। হাউসের দায়িত্বে থাকবেন এক জন করে শিক্ষক। এছাড়াও হাউসের অধিনায়ক হিসেবে এক জন পড়ুয়াকে রাখা হবে। এছাড়াও পড়ার অভ্যাস গ়ড়ে তোলার জন্য একাধিক অনুশীলনের পাশাপাশি শিশু সংসদেরও আয়োজন করতে বলা হয়েছে। থাকবে আনন্দ পরিসরের ক্লাসও। প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একটি পিরিয়ডে সেই ক্লাস হবে। সেখানে গান, কবিতা, ছবি আঁকার পাশাপাশি যা ভাল লাগে তা আরও ভাল ভাবে করার প্রশিক্ষণ পাবে পড়ুয়ারা।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধানদের বিশদে জানানোর জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। ২ নভেম্বরের কর্মশালার পর প্রধান শিক্ষকরা স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের এ বিষয়ে অবগত করতে নিজেরাও কর্মশালার আয়োজন করবেন। ২০২৩-এর জানুয়ারি থেকে এই বিষয় বাধ্যতামূলক পাঠক্রমের আওতায় চলে আসবে। তার আগেই বিভিন্ন দফায় শিক্ষকদের এ ব্যাপারে প্রশিক্ষিত করে তোলার প্রয়াস চলছে।
কিন্তু এত বড় কাজের জন্য অর্থের সংস্থান হবে কী করে? এই প্রশ্ন তুলেছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। সংগঠনের তরফে স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘স্কুলে কোনও জিনিস কার্যকর করতে গেলে শুধু প্রধান শিক্ষক নয়, অন্য শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ জরুরি। এই বিপুল খরচ বহন করতে শিক্ষা দফতর কি তৈরি?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy