মুকুল রায় এবং দল বদলানো বিধায়কদের তোপ শুভেন্দুর। ফাইল চিত্র।
বিজেপির টিকিটে ভোটে জিতে তৃণমূলে যোগ দেওয়া জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আগেও সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার আরও এক বার মুকুল রায়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে দলবদলুদের ‘নীতিহীনতা’ নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী কোনও নিয়ম মানা হয় না। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “এত আসন পাওয়া সত্ত্বেও বিরোধী দলের বিধায়ক ভাঙিয়েছে। বিজেপির আসনে এসেই তাঁরা বসে থাকেন। ভিতরে বসে বলেন বিজেপি, বাইরে বেরিয়ে বলছেন তৃণমূল।” শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই দলত্যাগবিরোধী আইন মানা হয় না। দলবদলু বিধায়করা রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রকাশ্যেই অন্য দলকে ভোট দিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
সোমবার শুভেন্দুর নিশানায় ছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তৃণমূলের নয়া কর্মসূচি ‘নবজোয়ার যাত্রা’-কে ‘সরকার পোষিত কর্মসূচি’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এই কর্মসূচির জন্য কত টাকা ব্যয় করা হচ্ছে, সে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের সুরক্ষার জন্য রাজ্যের অনেক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিককে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মুকুলকে নিয়ে অবশ্য আগেও মুখ খুলেছেন শুভেন্দু। মুকুলের দিল্লিযাত্রার পরে শুভেন্দুকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সবাই এখন বুথ-সশক্তিকরণ অভিযানে ব্যস্ত। কারও হাতে এত সময় নেই। কে কোথায় গেল, কী রটিয়ে দিল, ওটা ওদের ব্যাপার।” মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায় দাবি করেছিলেন, তাঁর বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁকে কেউ বা কারা অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গেও শুভেন্দু বলেছিলেন, “তৃণমূল এমন জায়গায় গিয়েছে যে, ছেলে বাবাকেও রেয়াত করছে না।”
খাতায় কলমে বিজেপি বিধায়ক থাকা মুকুল ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন। তারপরে অবশ্য সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁকে বিশেষ দেখা যায়নি। সম্প্রতি তিনি আবার বিজেপিতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। সোমবার সেই প্রসঙ্গ উঠতেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘তৃণমূলে ছিল, এখন বিজেপিতে আসবেন বলছেন।’’ এর পরেই তিনি অন্য দলত্যাগীদের লক্ষ্য করে আক্রমণ শানান। প্রসঙ্গত, বিজেপি শিবির মনে করে যে, মুকুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে অন্যদের নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। এ নিয়ে আদলতেও গিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy