বজবজ এবং ডায়মন্ড হারবার পুরোপুরি বিরোধীহীন। শুধু মহেশতলা পুরসভার ৩৫টি আসনের মধ্যে একটি মাত্র ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। বাকি ৩৪টিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। ডায়মন্ড হারবার পুরসভাতেও ১৬টি আসনেই জয় পেয়েছে জোড়াফুলের প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, এই তিনটি পুরভার কোনওটির ভোটেই বিরোধীরা বুথদখল, ছাপ্পা ভোট ইত্যাদির অভিযোগ করেনি শাসকদলের বিরুদ্ধে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অধীন তিন পুরসভার দুটিই বিরোধীশূন্য। ফাইল চিত্র।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের অন্তর্গত তিন পুরসভার দু’টিতে খাতাই খুলতে পারল না বিরোধীরা। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকায় পূজালি ছাড়া বাকি তিন পুরসভা মহেশতলা, বজবজ ও ডায়মন্ড হারবার পুরসভায় ভোট হয়েছিল।সবক’টি পুরসভাতেই বিজয়কেতন ওড়াল শাসক শিবির।
এর মধ্যে বজবজ এবং ডায়মন্ড হারবার পুরোপুরি বিরোধীহীন। শুধু মহেশতলা পুরসভার ৩৫টি আসনের মধ্যে একটি মাত্র ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। বাকি ৩৪টিতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল। ডায়মন্ড হারবার পুরসভাতেও ১৬টি আসনেই জয় পেয়েছে জোড়াফুলের প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, এই তিনটি পুরভার কোনওটির ভোটেই বিরোধীরা বুথদখল, ছাপ্পা ভোট ইত্যাদির অভিযোগ করেনি শাসকদলের বিরুদ্ধে।
বজবজ পুরসভায় অবশ্য ভোটের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেছিল তৃণমূল। ২০টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট বজবজ পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে বিরোধী কোনও দল প্রার্থী না দেওয়ায় আগেই তৃণমূল বোর্ড গঠন নিশ্চিত করেছিল। তাই শুধু বাকি দু’টি ওয়ার্ডে ভোট হয়েছিল ২৭ ফেব্রুয়ারি। বুধবার ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী বিদায়ী চেয়ারম্যান ফুলু দে ১,৭২৫ ভোটে হারিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শেখ আমিরুদ্দিন ৩,০৬৯ ভোটে হারিয়েছেন ফরওয়ারড ব্লকের লিয়াকত আলিকে। তাই বজবজে বিরোধীশূন্য পুরসভা গড়ার পথে তৃণমূল। তিন পুরসভায় তৃণমূলের জয়ের কৃতিত্ব দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেককেই দিয়েছেন বজবজের প্রবীণ তৃণমূল বিধায়ক অশোক দেব।
ঘটনাচক্রে, নিজের লোকসভা হলেও এই তিন পুরসভায় ভোটের প্রচারে করতে হয়নি সাংসদ অভিষেককে। তা সত্ত্বেও বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে তৃণমূল। বস্তুত, মহেশতলা পুরসভায় কংগ্রেস একটি আসন না পেলে সেখানেও বিরোধীশূন্য বোর্ড গঠন করত শাসক শিবির। এলাকার তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের উন্নয়নের উপর ভরসা রেখেছেন মানুষ।
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকার তৃণমূল নেতা তরুণ রায় বুধবার বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ওপর আস্থা রেখেছেন মানুষ। তা ছাড়াও ২০১৪ সাল থেকে ডায়মন্ড হারবারে যেভাবে উন্নয়ন করেছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তারও কোনও জবাব বিরোধীদের কাছে নেই। তাই তাঁরা এ বারের পুরভোটে প্রার্থীই খুঁজে পাননি। সিপিএমের সন্ত্রাস বা বিজেপি-র বিভাজন নীতি নয়। অভিষেকের নেতৃত্বই যে আগামী দিন পথ দেখাবে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এই ফলাফলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy