জলমগ্ন সিকিম। —ফাইল চিত্র।
সিকিম ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ মালদার যুবক। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর দু’দিন অতিক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি, ওই যুবক এবং তাঁর তিন সঙ্গীর। সংবাদমাধ্যমে সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ ছবি দেখে ছেলের চিন্তায় ব্যাকুল মালদহের রতুয়ার থানা পাড়ার পরিবার। ছেলে সুস্থ ভাবে ঘরে ফিরে আসুক, এই কামনাই করছে পরিবার, পড়শিরা। ছেলের খোঁজ পেতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বাবা।
রতুয়া থানা পাড়ার বাসিন্দা সুধীর সাহার দুই ছেলে শুভঙ্কর এবং সুশান্ত। ছোট ছেলে সুশান্ত পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি বহুজাতিক সংস্থা ইনফোসিসের কর্মী। গত মাসের ৩০ তারিখ চিকিৎসককে দেখাতে ট্রেনে শিলিগুড়ির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন সুশান্ত। চলতি মাসের ১ তারিখ চিকিৎসক দেখিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে সিকিম ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বছর ২৪-এর সুশান্ত। শিলিগুড়ির দুই এবং বিহারের এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বাইক ভাড়া করে সিকিম পৌঁছন সুশান্ত। সোমবার রাতে সিকিমে পৌঁছে বাবা, মায়ের সঙ্গে কথা বলেন সুশান্ত। জানিয়েছিলেন, ভাল আছেন তাঁরা। হোটেলও পেয়ে গিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে সিকিম থেকে ভ্রমণের ছবি পাঠান বাবা, মাকে। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলের পর থেকেই সুশান্তের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের। সিকিমের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর টিভিতে দেখে ব্যাকুল হয়ে ওঠে পরিবার। একাধিক বার ফোন করা হলেও তা ‘সুইচড অফ’ পাওয়া যায়। তার পর থেকে আর ছেলের খোঁজ পায়নি মালদহের পরিবারটি। তার মাঝে কেটে গিয়েছে তিন, তিনটি দিন। ছেলের কোনও খবর না পেয়ে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বাবা সুধীর এবং দাদা শুভঙ্কর। আর কাঁদতে কাঁদতে ঠাকুর ঘরে বসে ছেলের ফিরে আসার প্রার্থনা করে চলেছেন মা শেফালি।
তিস্তা নদীর ধ্বংসলীলায় তছনছ পাহাড়ি সিকিম। চার দিকে এখন শুধুই মানুষের হাহাকার। সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত জনজীবন। নিখোঁজ বহু পর্যটক। সেই তালিকায় রয়েছেন, মালদহের রতুয়া থানা পাড়ার বাসিন্দা সুশান্তও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy