রবিবার বিজেপির মিছিল। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
মঙ্গলবার দুপুরে আরও একজন বিজেপি কর্মীকে ‘গোলি মারো’ স্লোগান দেওয়ার জন্য় গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। এখনও পর্যন্ত মোট ধৃতের সংখ্যা ৫। সন্দীপ সোনকর নামে ওই বিজেপি কর্মী চেতলা এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে সোমবার গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থেকে সুজিত বড়ুয়া নামে অন্য এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে নিউ মার্কেট থানা। পুলিশ সূত্রের খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই ঘটনায় আরও ২৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সুজিতকে এ দিন মুখ্য মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পেশ করে পুলিশ। সরকার পক্ষের আইনজীবী পুলিশ হেফাজত চান ধৃতের। বিচারক ৫ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
রবিবার শহিদ মিনার ময়দানে অমিত শাহের সভার যোগ দিতে যাওয়ার পথে ধর্মতলায় ‘গোলি মারো’ স্লোগান ওঠে। খাস কলকাতায় এ ধরনের ঘটনার তীব্র সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরে। দাবি ওঠে, বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারের। এর পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ।
যে এলাকায় ‘গোলি মারো’ স্লোগান উঠেছিল, সেই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জোগাড় করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে পুলিশ। নিউ মার্কেট থানার পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ধ্রুব বসু, পঙ্কজ প্রসাদ এবং সুরেন্দ্রকুমার তিওয়ারি নামে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারা (সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে উস্কানি), ৫০৫ ধারা (কোনও সম্প্রদায়কে হুমকি), ৫০৬ ধারা (হুমকি) এবং ৩৪ ধারা (এক উদ্দেশে কোনও কাজ করা)-এ মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: জামিন হল না ‘গোলি মারো’ স্লোগান দিয়ে ধৃত বিজেপি কর্মীদের ২ জনের
পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল ব্যাঙ্কশাল কোর্টের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দীপাঞ্জন সেনের আদালতে তোলা হলে জামিন পানধ্রুব বসু। পঙ্কজ প্রসাদ ও সুরেন্দ্রকুমার তিওয়ারিকে দু’দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর পর সোমবার রাতেই সোদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সুজিত বড়ুয়াকে। তাঁকেও এদিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত আরও ২৫ জনের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘পরিকল্পিত গণহত্যা হয়েছে দিল্লিতে’, নেতাজি ইন্ডোরে মমতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy