শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বেই প্রথম দিনেই বিভ্রাট বিধানসভায়। মঙ্গলবার বিধানসভায় বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই ছিল অধিবেশন শুরুর ব্যস্ততা। বিধায়করা তো বটেই, বিধানসভার কর্মচারী, বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক-কর্মী, সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও যে যাঁর কাজে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু দেখা যায়, বিধানসভার একাংশের বাথরুম ও বিভিন্ন বেসিনে জল আসছে না। বিধানসভার লবি লাগোয়া একটি বড় বাথরুমে জল নেই। পরে দেখা যায়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘরের বাথরুমেও জলের যোগান নেই। অধিবেশনের সময় তাঁর ঘরের বাথরুমটিই ব্যবহার করেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু জল না থাকায় শুভেন্দু তো বটেই, অন্য বিধায়করাও তাঁর ঘরের বাথরুমটি ব্যবহার করতে পারেননি।
বাধ্য হয়েই বিধানসভার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকারের অফিসে অভিযোগ জানানো হয় বিরোধী দলনেতার দফতর থেকে। বলা হয়, দ্রুত জলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এর বেশ কিছু ক্ষণ পরে বিধানসভার অন্য অংশেও জল না থাকার অভিযোগ পান তাঁরা। সমস্যা ঠিক কোথায়, তা জানতে উদ্যোগ শুরু হয়। পরে দুপুরের দিকে জানা যায়, বিধানসভা ভবনের ছাদে জল সরবরাহের পাইপে সমস্যা দেখা দেওয়ায় জলের যোগান কমে যায়। শুরু হয় সারাইয়ের উদ্যোগ। দুপুরে শেষ হয়ে যায় বিধানসভার অধিবেশন। তত ক্ষণে বিরোধী দলনেতা সহ অন্য বিধায়করা বিধানসভা ছেড়ে বেরিয়ে যান। তার অনেক পরে বিকেলের দিকে জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।
বিধানসভার একাংশে জল না থাকা প্রসঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের আগে জানালেন অনেক আগেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। অনেক সময় তো বাড়িতেও এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। এবং তা সময় মতো ঠিক করা হয়। এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছে।" প্রসঙ্গত বিধানসভার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকে রাজ্যের পূর্ত দফতর। বুধবার থেকে জলের যোগান ঠিক থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিধানসভা কতৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy