৬ মে কলকাতায় মিছিলের পর হাজরা মোড়ে সভা করে ডিএ-র দাবিতে সোচ্চার হবেন সরকারি কর্মচারীরা। — ফাইল চিত্র।
মহার্ঘ ভাতা (ডিএ)-র দাবি পৌঁছে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর দুয়ারে। আগামী ৬ মে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের শহিদ মিনারের অবস্থান ১০০ দিন পূর্ণ করবে। সেই উপলক্ষ্যে ওই দিন কলকাতায় এক বিশাল মিছিলের আয়োজন করবেন তাঁরা। পাশাপাশি, ওই দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকায় জনসভা করবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এত দিন কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় এবং ডিএ-র দাবিতে দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্না দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছের কোনও জায়গায় সভা করার কথা ঘোষণা করলেন তাঁরা। ৬ মে কলকাতায় মিছিলের পর হাজরা মোড়ে সভা করে ডিএ-র দাবিতে সোচ্চার হবেন সরকারি কর্মচারীরা।
হাজরা মোড় এলাকাটি মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরের অন্তগর্ত। মুখ্যমন্ত্রীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে হাজরা মোড়ের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ হাজরা মোড় থেকেই তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত। কাছের যোগমায়া দেবী কলেজ থেকে যেমন তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু। তেমনই দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ হিসেবেও তিনি জয়ী হয়ে দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন একাধিকবার। তা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর দল তৃণমূল, হাজরা মোড়কে নিজেদের দূর্গ হিসেবেই জানে। হাজরা মোড় থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দূরত্ব এক কিলোমিটারও নয়। তাই এমন একটি সংবেদনশীল এলাকায় পুলিশ আদৌ সভা করার অনুমতি দেবে কিনা, তা নিয়েও ধন্দে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের একাংশ নেতৃত্ব।
মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘হাজরা মোড়ে তো বিভিন্ন সভা হয়। তাই আমরা আমাদের দাবি নিয়ে সভা করব। সেক্ষেত্রে পুলিশ যদি আমাদের সভা করার অনুমতি না দেয়, তাহলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অনুমতি এনে সভা করব।’’ তবে এই সভা যে কেবল ডিএ-র দাবিতে হচ্ছে, এমনটা নয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদে স্বচ্ছ এবং স্থায়ী নিয়োগ আর যোগ্য অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণের দাবিও এই সভা থেকে তুলে ধরা হবে।
অন্য দিকে, রাজ্য সরকারের সদর দফতর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। মে মাসের ৪ তারিখ দুপুর আড়াটে নাগাদ এই অভিযান করবে তারা। যদিও, এই কর্মসূচির আগে জেলাভিত্তিক বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটির। আগামী ২৭ এপ্রিল ব্লকে ব্লকে ডিএ-র দাবিতে বাইক র্যালি করবেন কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যেরা। ২৮-২৯ তারিখ দু’দিন ব্যাপী সব জেলার সদর দফতরে ওই একই দাবিতে ধর্না অবস্থানে বসবেন তাঁরা। ৪ এবং ৬ মে এই জোড়া কর্মসূচি কলকাতা পুলিশ প্রশাসনকে ব্যস্ত রাখবে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহলের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy