Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
Moyna BJP leader death

শুভেন্দুর সভা থেকে ফেরার পথে আক্রান্ত নিহত বিজেপি নেতার আত্মীয়! অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “ময়নায় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।’’

Suvendu Adhikari

শু‌ভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ময়না শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৩ ১০:১৩
Share: Save:

পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি নেতা খুনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ মিছিল ও স্মরণসভার আয়োজন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা সেরে রাতে বাড়ি ফেরার পথে বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মীর উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির দাবি, জখম বিজেপি কর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহতদের মধ্যে নিহত বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার পিসতুতো ভাই গোবরাদান গ্রামের বাসিন্দা তরুণ দাসও রয়েছেন।

এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “ময়নায় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে। আদি-নব্য দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। যে কোনও ঝামেলা হলেই তৃণমূলকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। যদি কোনও হামলার ঘটনা হয়ে থাকে, সেখানে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। যদি কেউ দোষী হয়, তারা শাস্তি পাবে। আইন আইনের পথে চলবে।’’

বিজেপির অভিযোগ, শুভেন্দুর সভা সেরে কর্মীরা বাড়ি ফেরার সময় তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে ময়না ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পরে তাঁদের তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তরুণ বলেন, “আমরা কয়েক জন শুভেন্দুর মিছিল থেকে ফিরছিলাম। সেই সময় রাস্তায় লাঠি, রড নিয়ে আমাদের বেধড়ক পেটায় কয়েক জন তৃণমূলকর্মী। আমার পা ভেঙে দিয়েছে। দুষ্কৃতীদের মুখ বাঁধা ছিল বলে চিনতে পারিনি। শুভেন্দু’দার সভায় গিয়েছি বলে আমাদের মারধর করা হয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা আমাদের মারধর করে পালিয়ে যায়।”

এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা। তিনি বলেন, ‘‘তরুণ সম্পর্কে বিজয়ের পিসতুতো ভাই। মিছিল থেকে ফেরার পথে তাঁদের উপর নারকীয় হামলা চালানো হয়। রড দিয়ে মেরে হাঁটু ভেঙে দিয়েছে। পা তুলতে পারছে না। এই কারণে আহতদের আমরা তমলুক হাসপাতালে পাঠাচ্ছি। প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করতে হবে। বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ আমাদের এফআইআর করতে বলেছে। তবে আমরা নিশ্চিত, পুলিশ কিছুই করবে না।’’ অশোকের সংযোজন, “বিজয়ের খুনিরা এখনও ময়নাতেই বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের ধরতে পুলিশ কোনও উদ্যোগ নেয়নি। আমরা সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করছি। কলকাতা হাই আদালত কী রায় দেয়, তার অপেক্ষায় রয়েছি। এর পর ওই তৃণমূল নেতাদের আমরা যা দৌড় করাব, ওরা স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না।”

বাকচার গোড়ামহল গ্রামে সোমবার বিকেলে বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ১২ ঘণ্টা ময়নায় বন্‌ধ কর্মসূচি পালন করেছেন বিজেপি কর্মীরা। বৃহস্পতিবারও ময়নায় মিছিল করে গেরুয়া শিবির। এর পর রাতেই কলকাতার কম্যান্ড হাসপাতাল থেকে ময়নার বাড়িতে ফেরে বিজয়কৃষ্ণের দেহ। শুক্রবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানা গিয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Moyna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE