Advertisement
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
Omicron

Omicron: ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে তিন গুণ বেশি সংক্রামক, রাজ্যগুলিকে ব্যবস্থা নিতে বলল কেন্দ্র

স্থানীয় পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে দেখতে হবে সংক্রমণ কোন পর্যায়ে রয়েছে। সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ বা বেশি হলে তা প্রাথমিক পর্যায় গণ্য হবে।

কোনও এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে নমুনা সংগ্রহ করে ইনসাকগ পরীক্ষাগারে জিন পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে।

কোনও এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে নমুনা সংগ্রহ করে ইনসাকগ পরীক্ষাগারে জিন পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে। ফাইল ছবি

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২১ ২১:৫৬
Share: Save:

বিশ্ব জুড়ে ওমিক্রন সংক্রমণের পাশাপাশি ভারতেও বাড়ছে কোভিডের এই নয়া রূপের আক্রমণ। এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলল রাজ্যগুলিকে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক রাজ্যগুলিকে লেখা চিঠিতে সংক্রমণ রুখতে কঠোর হওয়ার কথা বলেছে। এর মধ্যে ‘ওয়ার রুম’ (সংক্রমণ রুখতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্যবস্থাপনা) সক্রিয় করা, বেশি সংখ্যক পরীক্ষা, নৈশ কার্ফু, জমায়েতে নিয়ন্ত্রণ-সহ একগুচ্ছ ব্যবস্থার উল্লেখ রয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে দেখতে হবে সংক্রমণ কোন পর্যায়ে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে গণ্য হবে যদি সংক্রমণের হার ১০ শতাংশে পৌঁছয় বা তার বেশি হয়। অথবা হাসপাতালের অক্সিজেন সাপোর্টে বা আইসিইউ বেডের মোট সংখ্যার ৪০ শতাংশ ভরে যায়। এই পর্যবেক্ষণ নির্ধারিত হবে আগের সপ্তাহে হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি দেখে। তবে সংক্রমণ প্রাথমিক পর্যায়ে পৌঁছনোর আগেই তা রুখতে কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করতে হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ডেল্টা এবং ওমিক্রন রূপ দেশে এখন রয়েছে। সংক্রমণ রুখতে দূরদৃষ্টি প্রয়োগ করে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কোভিডে আক্রান্তদের ঘরে ঘরে গিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা এবং সংক্রণের সম্ভাব্য গতিপ্রকৃতি বিচার করতে হবে। কোনও এলাকায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে নমুনা সংগ্রহ করে ইনসাকগ পরীক্ষাগারে জিন পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে।

রাজ্যবাসীদের ১০০ শতাংশ টিকাকরণেও জোর দিতে বলা হয়েছে চিঠিতে। আপৎকালীন তহবিল থেকে চিকিৎসার পরিকাঠামো তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। যার মধ্যে হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা বাড়ানো, অক্সিজেন মজুত রাখা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ সংগ্রহের কথা বলা হয়েছে।

অন্য দিকে ওমিক্রনের গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে কি না তা নজর রাখতে, কলকাতা পুর এলাকায় কোভিড রোগীর সিটি ভ্যালু (ভাইরাসের মাত্রা) যদি ৩০-এর মধ্যে হয় তবে তাঁর জিন পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং পরীক্ষা হবে কল্যাণীতে। সপ্তাহে দু’দিন নমুনা পাঠানো হবে পরীক্ষার জন্য। ইনসাকগ-এর পরামর্শ অনুযায়ী কলকাতা-সহ আটটি মেট্রো শহরে গোষ্ঠী সংগ্রমণ হচ্ছে কি না তা নজর রাখতে এই পরীক্ষা করা হবে।

দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ অতিক্রম করেছে। মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতেই আক্রান্তের সংখ্যা সবচে়য়ে বেশি।

অন্য বিষয়গুলি:

Omicron Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy