ক্যাব, বাইক এবং বাসের পরে এ বার অটোর পরিষেবাতেও পা রাখতে চায় শহরের একাধিক অ্যাপ-ক্যাব সংস্থা। শুক্রবার রাজ্য পরিবহণ নিগমের ময়দান তাঁবুতে রাজ্যের পরিবহণ সচিবের উপস্থিতিতে বৈঠকে বসেন একাধিক অ্যাপ-ক্যাব সংস্থার প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন চালক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। প্রসঙ্গত, কলকাতায় বাসের মতো অটো নির্দিষ্ট রুটে চলে। এই ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে অটোর পরিষেবার বাজার দখল করতে চায় অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলি। দিল্লি, চেন্নাই, মাদুরাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ-সহ একাধিক শহরে মিটার-নির্ভর অটো চলে। কলকাতায় অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীরা অটো ভাড়া করলে তা যাত্রীকে বাড়ির দরজা থেকে তুলে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। তবে, এই পরিকল্পনায় আপত্তি জানিয়েছে শাসকদলের ট্রেড ইউনিয়ন ছাড়াও এআইইউটিইউসি-র পরিবহণ কর্মী সংগঠন।
বস্তুত, কলকাতায় প্রধান সড়কগুলি এড়িয়ে বাস, ট্রেন এবং মেট্রো থেকে নামা যাত্রীদের বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে দিতে বিভিন্ন রুটে অটো চলে। অল্প কিছু ক্ষেত্রে ডায়মন্ড হারবার রোড, উল্টোডাঙা, বাগুইআটি, গড়িয়াহাটের মতো এলাকায় প্রধান রাস্তায় অটো চলে। অ্যাপের মাধ্যমে অটো চলার অনুমতি দিলে বিমানবন্দর, হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা, সাঁতরাগাছি, শালিমারের মতো রেল স্টেশনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ সেতু এবং উড়ালপুল ধরেও অটো চলবে। এআইইউটিইউসি-র পরিবহণ কর্মী সংগঠনের নেতা শান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘এ ভাবে অটো ছুটলে রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ হবে।’’ পরিবহণ দফতর অবশ্য এ নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।
এ দিন বেলতলায় মোটর ভেহিক্ল অফিসে বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা। সেখানে বেসরকারি বাসে অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি চালাতে মোবাইল ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয়। বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপন বাসের গায়ে লাগানোর সুযোগ দিয়ে সেই টাকায় চালকদের স্মার্ট ফোন দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)