Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

সভাপতির দেখাই মিলছে না, ক্ষোভ

জেলা সভাপতি হওয়ার ৭ দিন পরে মোয়াজ্জেম হোসেন কেন মালদহে যাননি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অনেকেই। নবনিযুক্ত সভাপতিকে না পেয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা প্রয়োজনে কখনও মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর কাছে যাচ্ছেন, কেউ বা মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের কাছে ছুটছেন, কেউ দুলাল সরকারের দ্বারস্থ হচ্ছেন। নবনিযুক্ত সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “৯ জুন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালদহ যাব।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৪ ০১:২৯
Share: Save:

জেলা সভাপতি হওয়ার ৭ দিন পরে মোয়াজ্জেম হোসেন কেন মালদহে যাননি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অনেকেই। নবনিযুক্ত সভাপতিকে না পেয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা প্রয়োজনে কখনও মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর কাছে যাচ্ছেন, কেউ বা মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের কাছে ছুটছেন, কেউ দুলাল সরকারের দ্বারস্থ হচ্ছেন। নবনিযুক্ত সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “৯ জুন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালদহ যাব।”

তবে মালদহে দলের জেলা অফিস খুলতে চান নতুন সভাপতি। তৃণমূল সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দলের কয়েকজনকে জেলা অফিস করার জন্য ভাড়া বাড়ির খোঁজ নিতে বলেছেন নতুন সভাপতি। এতদিন মালদহে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর কালীতলার অফিসে কিংবা মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের সদরঘাটের বাড়িতে অথবা জেলায় তৃতীয় শিবিরের নেতা দুলাল সরকারের কানির মোড়ের পার্টি অফিসে সকলে যাতায়াত করতেন। কিন্তু তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন একটি পুরোদস্তুর জেলা অফিস খুলতে চান। ইতিমধ্যে মালদহ শহরের কৃষ্ণজীবন সান্যাল রোডে ও রথবাড়ির কাছে দু’টি বাড়ি পার্টি অফিসের জন্য দেখা হয়েছে। মোয়াজ্জেম বলেন, “১৯৯৮ সালে আমাদের পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়েছে। অথচ এখনও পর্যন্ত মালদহে পার্টি অফিস কেউ তৈরি করেনি। এর আগে যারা জেলা সভাপতি ছিলেন, তাঁরা কেউ নিজের ব্যাক্তিগত অফিসে, কেউ নিজের বাড়িতেই পার্টি অফিস বানিয়ে দলকে পরিচালনা করেছেন। আমি চাঁদা তুলে জেলায় মালদহ জেলা তৃণমূল ভবন তৈরি করতে চাই। স্থায়ী পার্টি অফিস তৈরি করার আগে বাড়ি ভাড়া করে সেখান থেকে জেলার সাংগঠনিক কাজ শুরু করব।”

১৯৯৮ সালে রাজ্যের পযর্টন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুবাবু যখন জেলা সভাপতি ছিলেন তখন তিনি তাঁর কালীতলার অফিসে জেলা তৃণমূল পার্টি অফিস গড়ে ওঠে। এর পর কৃষ্ণেন্দুবাবু তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলে দুলাল সরকারকে জেলা তৃণমূল সভাপতি করা হয়। দলের জেলা সভাপতি হওয়ার পরই দুলাল সরকার কানির মোড়ে ইংরেজবাজার পুরসভার বহুতল বিল্ডিংয়ে কয়েকটি দোকানঘর নিয়ে জেলা তৃণমূলের পার্টি অফিস খোলেন। গৌতম চক্রবর্তী জেলা সভাপতি হতেই তিনি জেলা তৃণমূল পার্টি অফিস পুড়াটুলিতে নিজের বাড়িতে তুলে নিয়ে যান। সেখানে অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী ছিল না জেলা তৃণমূল পার্টি অফিস।

২০১১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সাবিত্রী মিত্রকে মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতির পদে বসান। তার পরই পরই পুড়াটুলির গৌতমবাবুর বাড়ি থেকে পার্টি অফিস চলে যায় সদরঘাটে সাবিত্রী দেবীর বাড়িতে। তবে জেলা সভানেত্রীর পদ থেকে সরানোর পরেও সাবিত্রী দেবীর বাড়ির অফিসে ভিড় কম নয়। সাবিত্রী দেবী বলেন, “নতুন জেলা সভাপতি যেখানে পার্টি অফিস করবেন সেখানেই আমরা যাব।” খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুবাবু অবশ্য মনে করেন, মোয়াজ্জেম হোসেন রাজনীতিতে নতুন বলে তাঁকে সকলের সাহায্য করা দরকার। তাঁর দাবি, “কালীতলা অফিসটি আমার ব্যাক্তিগত। আমি যখন জেলা তৃণমূল সভাপতি ছিলাম তখন আমার অফিস জেলা পার্টি অফিস করেছিলাম।’’ জেলায় তৃতীয় শিবিরের নেতা দুলাল সরকার বলেন, “আমি দল করি। যেখানে সম্মান পাব, তাঁর হয়ে কাজ করব।”

অন্য বিষয়গুলি:

malda moyajjem hosain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy