রায়গঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্তের সমর্থনে কর্মিসভা করল সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠন এসএফআই ও ডিওয়াইএফ।
শুক্রবার বিকালে রায়গঞ্জের কাঞ্চনপল্লি এলাকার আয়োজিত ওই কর্মিসভায় যোগ দেন কংগ্রেস প্রার্থী মোহিতবাবু, দলের উত্তর দিনাজপুর জেলার দুই সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ ও সন্দীপ বিশ্বাস এবং রায়গঞ্জ লোকসভা যুব কংগ্রেস কমিটির সহকারী সভাপতি তুষার গুহ। বামেদের তরফে ওই কর্মিসভায় ছিলেন জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান অপূর্ব পাল, সিপিএমের রায়গঞ্জ লোকাল কমিটির সম্পাদক নীলকমল সাহা, এসএফআই ও ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদক শুভজিত চক্রবর্তী, কার্তিক
দাস প্রমূখ।
এ দিনের কর্মিসভায় কংগ্রেস ও বাম নেতারা এসএফআই ও ডিওয়াইএফের সমর্থকদের মনে কোনও দ্বন্দ্ব দ্বিধা না রেখে কংগ্রেস প্রার্থী মোহিতবাবুকে নির্বাচনে জেতানোর আবেদন জানান। মোহিতবাবু অভিযোগ করেন, বাম আমলে যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে বেকারদের চাকরি হত। কিন্তু গত সাড়ে চার বছরে তৃণমূল নেতারা বেকারদের টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন। অনেকে তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়েও চাকরি না পেয়ে প্রতারিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘নানা প্রলোভন দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস দল ভাঙিয়ে নিজেদের দল শক্তিশালী করেছে। গত সাড়ে চার বছরে বিধানসভায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল না। বিধানসভায় বিরোধী দলের বিধায়কেরা নানা অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃণমূলনেত্রী চুপ করে থাকতেন। এ সবেরই প্রতিবাদে তৃণমূলকে রাজ্য থেকে হটাতে বামফ্রন্টের সর্বস্তরের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের সমর্থন চাইছি।
জেলা তৃণমূল সভাপতি ও ইটাহারের তৃণমূল প্রার্থী অমল আচার্যের কটাক্ষ, ‘‘শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সাধারণ মানুষ সহ কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের নিচুতলার কর্মীরা নীতিহীন এই ঘোঁটকে মানতে পারছে না। তাঁরা উন্নয়নের স্বার্থে জেলার ন’টি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করবেন। সেটা বুঝতে পেরেই বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের নেতারা এক মঞ্চে বসে বাসিন্দাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy