শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের বহুতলে আগুন লাগার ঘটনার তদন্ত শুরু করলেন দমকলের অফিসারেরা। সোমবার তিন সদস্যের একটি দল ওই ভবনে যান। বহুতলের চারতলায় থাকা ব্যাঙ্কের ক্যান্টিনের হিটার থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়তে বলে প্রতিনিধি দলের আশঙ্কা। তবে হিটার থেকে আগুন ছড়ায়নি বলে পাল্টা দাবি করেছেন ঘটনার সময়ে সেখানে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা। পাশাপাশি, অগ্নিনির্বাপক কোনও ব্যবস্থাই ভবনে ছিল না বলে দমকল আধিকারিকরা তদন্তে জানতে পেরেছেন। শুধু তাই নয়, যে চারতলায় আগুন লেগেছিল, সেখানে ব্যাঙ্কের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ পুলিশ কর্মী থাকেন। সেই সময় কয়েকজন ঘরে ছিলেন। তাঁদের ব্যবহারের কিছু জিনিস পুড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই ভবনে থাকা সংশ্লিষ্ট শাখার চিফ ম্যানেজার দাওয়া তেনজিং শেরপা। এ দিন দুপুর ১২টার পর ব্যাঙ্কের দৈনন্দিন কাজ স্বাভাবিক ভাবেই হয়েছে বলেও তিনি জানান। তাঁর সঙ্গে ঘণ্টা খানেক বৈঠক করেন দমকলের তিন সদস্যের একটি দল। দমকলের শিলিগুড়ির বিভাগীয় প্রধান দীপক নন্দী বলেন, “ব্যাঙ্কের গাফিলতি রয়েছে। সিঁড়ির পাশ দিয়ে কোনও নিকাশি নেই, জরুরিকালীন অবস্থার মোকাবিলার জন্য জলের সুবন্দোবস্ত নেই। সমস্ত বিষয় নিয়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছেও অভিযোগ করা হবে।” ব্যাঙ্কের তরফে গাফিলতি স্বীকার করে চিফ ম্যানেজার বলেন, “অনেক কিছু আমাদের জানা ছিল না। দমকল আধিকারিকরা আমাদের লিখিত পরামর্শ দেবেন। সেটা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা হিলকার্ট রোডের ওই ভবনে আগুন লাগে। ঘন্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। চার তলায় ব্যাঙ্কের নিরাপত্তার দায়িত্বে একজন এএসআই-এর অধীনে সাত জন সেখানে থাকেন। তাঁরা কসবা থেকে আসা চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের সদস্য। এএসআই মন্টু চন্দ্র দাস বলেন, “ঘটনার সময় আমাদের রান্না শেষ হয়ে গিয়েছিল। হিটার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। হিটার থেকে আগুন লাগার অভিযোগ ঠিক নয়।” এদিন যে তলায় আগুন লেগেছিল, তার দেওয়াল পুড়ে কালো হয়ে রয়েছে। লোহার আলমারিগুলি একটার উপর একটা পড়ে গিয়েছে। ঘরময় ছড়িয়ে আধপোড়া ফাইল, কাগজপত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy