এসেও যেন আসেনি। মেঘ-কুয়াশায় ঢাকা সকালে কনকনে ভাব থাকলেও, দুপুরের পরে তা উধাও। রাতের তাপমাত্রাতেও বোঝার উপার নেই যে, ডিসেম্বরের মাসের অর্ধেক গড়িয়ে গিয়েছে। তাপমাত্রার পারদ যেন নামতেই চাইছে না। বছরের এই সময় শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির আশেপাশে থাকার কথা, সেখানে এ বছর তাপমাত্রা ১৬-১৭ ডিগ্রিতেই আটকে রয়েছে। সমতলে যখন শীত নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত, তখন মঙ্গলবারেও দার্জিলিঙের সান্দাকফুতে তুষারপাত হয়েছে।
এ দিন ভোরে সান্দাকফু এবং ফালুটে তুষারপাত হয়েছে। সান্দাকফুর রাস্তায় অন্তত ৩ ইঞ্চি পুরু তুষারের স্তর জমে যায় বলে বাসিন্দারা জানিয়েছে। গত রবিবার থেকে তুষারপাত শুরু হয়েছে সান্দাকফুতে। সোমবারের পরে মঙ্গলবারেও তুষারপাত হয়েছে। এ দিন সকালে দার্জিলিং লাগোয়া টাইগার হিলের তাপমাত্রাও এক লপ্তে অনেকটাই কমে যায়। সকাল দশটা নাগাদ তাপমাত্রা শূন্য ছুঁয়ে ফেলে। তারপরে তাপমাত্রা বাড়লেও ৮ ডিগ্রির বেশি হয়নি। দার্জিলিঙেও এ দিন সকালে ঝিরঝিরে বৃষ্টিও হয়েছে।
যদিও, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি বলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। তুষারাবৃত হিমালয় পাহাড় ছুঁয়ে বয়ে আসা কনকনে হাওয়া (যাকে উত্তুরে হাওয়া বলা হয়) ঢোকার পরেই উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝাই সেই হাওয়াকে টেনে আনে। যে ঝঞ্ঝা যত বেশি শক্তিশালী, উত্তুরে হাওয়া টেনে আনার ক্ষমতা তার তত বেশি বলে বলে আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ফি বছর শীতের সময়ে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে প্রথমে বৃষ্টি হয়, তারপরে ঝঞ্ঝা সরে গেলে উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করে। এ বছরও নিয়ম মেনে পশ্চিম হিমালয় থেকে ঝঞ্ঝা এসেছে, সে কারণে আকাশ মেঘেও ঢাকা থাকছে। গত দু’দিন ঝিরঝিরে বৃষ্টিও হয়েছে। তবে ঝঞ্ঝা শক্তিশালী না হওয়ায় উত্তুরে হাওয়া টেনে আনতে পারছে না বলে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন।
সকালের দিকে কিছুটা ঠান্ডা থাকলেও, সন্ধ্যার পরেই শীত কমতে শুরু করছে কেন?
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে একটি ঝঞ্ঝা অসমের দিকে গিয়েছে। তার রেশ এখনও রয়ে গিয়েছে। প্রতিদিনই আকাশ মেঘে ডাকা থাকছে। যদিও ঝঞ্ঝা শক্তিশালী না হওয়ায় বৃষ্টি হচ্ছে না বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। তবে আকাশ মেঘে ঢাকা থাকায় রোদের দেখা মিলছে না, তাপমাত্রাও কমছে না। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাতের বেলায় ঘটছে ঠিক উল্টোটা। সাধারণত রাতের বেলায় মাটির থেকে তাপ উপরে উঠতে শুরু করে। আকাশে মেঘ থাকায় সেই তাপ আবার মাটিতেই ফিরে আসছে। তারফলে তাপমাত্রা কমার পরিবর্তে উল্টে বেড়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, “বিষয়টি অনেকটা গ্রিন হাউসের মতো। ঝঞ্ঝা শক্তি সঞ্চয় করলে, এই পরিস্থিতি পাল্টাবে। বৃষ্টির পরে আকাশ পরিষ্কার হবে। তখম ঝঞ্ঝার টানে উত্তুরে হাওয়াও যেমন ঢুকতে শুরু করবে তেমনই রাতের মেঘমুক্ত আকাশে তাপমাত্রাও কমবে।”
তবে কবে সেই পরস্থিতি তৈরি হবে তার পুর্বাভাস অবশ্য এখনও জানাতে পারেনি আবহাওয়া দফতর। আগামী সপ্তাহে আরও একটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে। না হলে শীতের আমেজ পুরোপুরি উপভোগ করতে সমতলবাসীদের আগামী ইংরেজি বছরের অপেক্ষা করতে হবে।
সম্মেলনে আসছেন সোমেন। আগামী ২১ ডিসেম্বর মাটিগাড়া ২ নম্বর অঞ্চলের সম্মেলনে যোগ দিতে শিলিগুড়িতে আসছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। সোমবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান মাটিগাড়া ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি শান্তিমোহন তরফদার। উপস্থিত থাকার কথা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি শঙ্কর মালাকার, সুখবিলাস বর্মা, সাবিনা ইয়াসমিন, যোশেফ মুণ্ডাদের বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মাটিগাড়া জুভেনাইল স্কুল ময়দানে এই সভা হবে বলে জানান শান্তিবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy