উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো তৈরিতে জমিহারা হওয়া পরিবার থেকে নিয়োগের দাবি জানাল বিজেপি। সোমবার কোচবিহার জেলা বিজেপির তরফে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে স্মারকলিপি দিয়ে ‘জমিহারা’ পরিবার থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের দাবি করা হয়।
সত্তরের দশকের শেষের দিকে ওই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির সময়ে পুণ্ডিবাড়িতে ৪৫০ জন বাসিন্দার কাছ থেকে ৩৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। বাম সরকারের তরফে তখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, প্রতি ‘জমিহারা’ পরিবারের এক জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতে নিয়োগ করা হবে।
দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “বাম আমলে ওই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ‘জমিহারা’দের চাকরির আশ্বাস দেন। কয়েকজনকে চাকরিও দেওয়া হয়। তবে অধিকাংশই বঞ্চিত। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও একই রকম বঞ্চনা চলছে।” উপাচার্য বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কর্মী নিয়োগে জমিহারা পরিবার এবং অস্থায়ী কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তা আগেই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সে কথা উল্লেখও করা হয়েছে। তার পরেও আন্দোলনের মানে কী?”
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, চলতি বছরের অগস্ট মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। সব মিলিয়ে ১১০ জন কর্মী নিয়োগের কথা রয়েছে। সম্প্রতি লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ২৫০ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র ৭৯ জন ‘জমিহারা’ পরিবারগুলির সদস্য। বিজেপি সমর্থিত উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টাররোল মজদুর মহাসঙ্ঘের নেতা আজগর আলি বলেন, “আমাদের সন্দেহ, এ বারও ‘জমিহারা’দের বাদ দিয়ে বাইরের আবেদনকারীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাই আন্দোলন শুরু হয়েছে।” ‘জমিহারা’দের সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত অন্য সংগঠন বাস্তুহারা সমিতির সম্পাদক প্রণয় সাহার দাবি, “৪৪৪জন বাস্তুহারা হয়েছেন। তালিকা ধরে ক্রমান্বয়ে চাকরি হচ্ছে। উপাচার্য আশ্বস্ত করেছেন। ওই সংগঠনের এখনও অনুমোদন নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy