শুভ্র ও রীতেশ। নিজস্ব চিত্র।
রীতেশ তিওয়ারি- বিজেপির ৩৫ জন নেতা-কর্মীর জামিন মঞ্জুর করল রায়গঞ্জ আদালত।
বুধবার অভিযুক্তদের আদালতে তোলে পুলিশ। সেই সঙ্গে, আদালতের নির্দেশে ওই মামলার কেস ডায়েরি বিচারকের কাছে পেশ করে। প্রায় এক ঘণ্টা শুনানির পরে বিচারক সব্যসাচী চট্টরাজ ধৃতদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ৫০০ টাকা বন্ডে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর তাঁদের ফের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রি সরকার বলেন, ‘‘ধৃতদের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা নিয়ে হামলা, মারধর, সরকারি কাজে বাধার মতো গুরুতর মামলা দায়েরের পরেও আদালত অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করায় আমি বিস্মিত।’’
বিজেপির রাজ্য নেতা রীতেশের আইনজীবী সুব্রত দের পাল্টা দাবি, ‘‘পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করেছে, কেস ডায়েরিতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ-সহ তা আদালতে পেশ করতে পারেনি। সেই কারণেই, বিচারক তাঁদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’’
আদালত সূত্রের খবর, পুলিশ রীতেশ-সহ বিজেপির ৩৫ জন কর্মী সমর্থকের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করলেও ধৃতদের কাছ থেকে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র বা বোমা উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ বোমার টুকরো ও সুতো উদ্ধার করে দেখালেও তা যে ওই বিক্ষোভ চলাকালীন ব্যবহার হয়েছে, তার-ও স্পষ্ট কোনও তথ্য দিতে পারেনি।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন বলে এড়িয়ে গিয়েছেন।
জেলা পুলিশের এক কর্তার অবশ্য দাবি, যে কোনও মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দু’দিনের মধ্যেই যে আদালতে সব তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে হবে, তার কোনও নিয়ম নেই। পুলিশ নিম্ন আদালতের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে।
এ দিন জামিন পাওয়ার পর আদালত চত্বরে বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। নিয়ম মেনে পুলিশ আদালত চত্বর থেকে রীতেশদের প্রিজন ভ্যানে তুলে রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে নিয়ে যায়। জামিনের আবেদন মঞ্জুরের নথি দেখার পর মুক্ত করেন। সংশোধনাগারের সামনে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা রীতেশদের ফুলের মালা পড়িয়ে মিছিল করে শহরের মহাত্মা গাঁধী রোড এলাকায় দলের জেলা কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।
সোমবার বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রীতেশ ও শুভ্র রায়চৌধুরী-সহ হাজার কয়েক কর্মী-সমর্থক রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় ব্যারিকেড ভেঙে জেলাশাসকের দফতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। পুলিশের দাবি, বিজেপি-র কর্মী সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা-গুলি চালায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy