পুরাতন মালদহ পুরসভা। —নিজস্ব চিত্র।
এই পুরসভাতে অনেক কিছুই নেই। আজও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি পুরসভার গায়ে। গত ১০ বছরে গ্রাম্য থেকে শহুরে পরিবেশ হওয়ার চেষ্টা করেছে। বড় রাস্তা হয়েছে। তবে পুরসভারবেশ কিছু এলাকায় এখনও সরু গলি রয়েছে।
বাড়ি বাড়ি আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল পরিষেবা চালু হয়েছে বটে, তবে তেমন কোনও উন্নতি চোখে পড়েনি।
গত ১০ বছরে বড় রাস্তা হয়েছে। আলোক স্তম্ভ বসেছে। পুরওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকায় যেখানে এখনও সরু গলি রয়েছে, সেখানে কোনও আলো নেই।
পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা পুরসভার অন্তভুক্ত হওয়ার এক দশেক পেরিয়েছে। কিন্তু সেই সব এলাকায় উন্নয়নের ছাপ চোখে না পড়ার মতন। ফ্ল্যাট বাড়ির সংস্কৃতি এই এলাকায় তেমন ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এলাকায় নেই কোনও শপিং মল। সিনেমা হল রয়েছে মাত্র একটি। তাতেও আধুনিকতার ছোঁয়া নেই। শরীরচর্চা অথবা খেলাধুলোর জন্য নেই কোনও স্টেডিয়াম। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এলাকার কাঁলাচাঁদ স্কুল মাঠে স্টেডিয়াম তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে তা এখনও প্রস্তাব আকারেই রয়েছে।
এই পুরসভায় নেই কোনও বাসস্ট্যান্ড বা বাস টার্মিনাস। বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের দাবি রয়েছে। তা-ও হয়নি। মালদহের জনপ্রিয় লোকসংস্কৃতি ‘গম্ভীরা’ গানের পীঠস্থান এই পুরসভা। নাটক, যাত্রাপালা-সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পারদর্শী পুরবাসী। কিন্তু তা অনুশীলন করার যেমন কোনও জায়গা নেই, তেমনই পারফরম্য়ান্সেরও সুযোগ কম। আসলে পুর এলাকায় নেই কোনও অডিটোরিয়াম। ১৫০ বছরের পুরনো এই পুরসভা কখনও স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করেনি। গত ১০ বছরে এলাকার উন্নয়ন হলেও আধুনিক যুগের গতির সঙ্গে এখনও ছুঁটতে শেখেনি। তাই অনেকেই এই পুরসভাকে গ্রামের পুরসভা বলে সম্বোধন করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy