ঘটনাস্থলে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা। নিজস্ব চিত্র।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল শ্যালিকার সঙ্গে। সেই সম্পর্কের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে নাবালিকা শ্যালিকা। বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রামের মাতব্বররা সালিশি সভা বসান। সেখানে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় ওই যুবককে। এর পরই বৃহস্পতিবার ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, টাকার চাপ এবং অপমানের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের ভেমটিয়া এলাকায়। মৃত যুবকের নাম মনিকুল রহমান (২২)।
জানা গিয়েছে, ভেমটিয়া এলাকার বাসিন্দা মনিকুল রহমানের সঙ্গে ৫ বছর আগে বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী কুমলাই পাড়া এলাকার এক যুবতীর। তাঁদের সদ্য একটি সন্তানও হয়েছে। যার বয়স মাত্র ৯ দিন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মনিকুলের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তাঁর ১৪ বছর শ্যালিকা। সম্প্রতি জানা যায়, তাঁর শ্যালিকা তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই ঘটনা জানাজানি হতেই সালিশি সভা বসে গ্ৰামে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গ্ৰামের ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এই কাজের জন্য মনিকুলকে ২ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশেই মনিকুলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। অভিযোগ, লজ্জায় এবং টাকা দিতে অপারগ হওয়ার কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক।
স্থানীয় বাসিন্দা মহাবুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘শ্যালিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মনিকুলের। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ২৩ মার্চ সালিশি সভা বসে। দু’লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। যদিও বুধবার মনিকুল বলেছিল শ্যালিকার সঙ্গে আগে সম্পর্ক ছিল ওর। কিন্তু এখন নেই।’’ মৃত যুবকের খুড়তুতো দাদা রফিকুল ইসমাল বলেছেন, ‘‘ভাই ওর শ্যালিকাকে নিয়ে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের খগেনহাট এলাকায় গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পরই ওই দু’জনকে নিয়ে সালিশি সভা বসে। সেখানে মেয়েটি জানায় সে অন্তঃসত্ত্বা। এর পর ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এবং তিন মাস সময় দেওয়া হয়। ও গাড়ি চালায়। অত টাকা ওর পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy