শোক: পরিবারের। নিজস্ব চিত্র
বিমানসেবিকা হতে চেয়েছিল মেয়েটি। কবিতাও লিখত। এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল তার। শেষ দিন স্কুল থেকে ফিরে একটি কবিতা লিখেছিল ছাত্রীটি। নাম দিয়েছিল ‘শেষ স্কুল’। সেটাই শেষ কবিতা হয়ে থাকল তৃষা চক্রবর্তীর।
জলপাইগুড়ি রানিনগর রবীন্দ্রনাথ হাইস্কুলের ছাত্রী ছিল তৃষা। রানিনগরেরই বাসিন্দা তারা। বাবা মতিলাল চক্রবর্তী জোলা পাড়ার এমএসকে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। দাদা ঋষভ চেওড়াপাড়ার পলিটেকনিক কলেজের পড়ুয়া। পড়শিরা বলছিলেন, দুই ভাইবোনই মেধাবী। স্কুলে প্রথম দশ জনের মধ্যে থাকত তৃষা। নাচেও পারদর্শী ছিল। বাড়ির লোকজন বলছিলেন, শনিবার সকালে টিউশনে যাওয়ার সময় পার হয়ে গিয়েছিল। এর পরেও দাদার সঙ্গে স্কুটিতে চেপে সে বেরিয়ে যায়। টিফিনের জন্য একশো টাকা দিয়েছিলেন বাবা। দুর্ঘটনায় খবর চক্রবর্তী বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। মা বিউটি চক্রবর্তী মাঝে মাঝেই জ্ঞান হারাচ্ছেন।
তৃষার বান্ধবী মৌমিতা মণ্ডল বলে, ‘‘ওর কবিতা আর শোনা হবে না।’’ তৃষার স্কুলের বাংলা বিভাগের শিক্ষক জ্যোতিষচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘আমাদের প্রিয় ছাত্রীকে হারালাম। কিছু আর ভাবতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy