বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে তৃণমূল-সিপিএম উভয়ের বাধার মুখে অর্ধেক কাজ করে ফিরে আসতে হল পুর কর্মীদের। তা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে। অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গেলেই প্রভাবশালী নেতারা এগিয়ে এসে যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি শহরের আশ্রমপাড়া এলাকায় অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়েছিলেন পুরসভার কর্মী আধিকারিকরা। অথচ দুই পক্ষের বাধায় শেষ পর্যন্ত কাজ অসমাপ্ত রেখেই ফিরে যেতে হয়েছে তাঁদের। কর্মীরা একাংশ জানান, পুরসভা থেকে ফোন করে জানানো হয়েছে আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে। ১৫ দিনের সময় দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে নিজেরা ভেঙে না ফেললে ফের পুর অভিযান চলবে। ওই বাড়ির মালিক সুভাষ অগ্রবাল বেআইনি কাজ করেছেন তা মেনে নিয়েছেন উপস্থিত তৃণমূল-সিপিএম দু’দলের সমর্থকরাই। তা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তি অসুস্থ থাকায় তা যেন ভাঙা না হয় দাবি তুলে পুরকর্মীদের নরমে-গরমে চাপ দিতে থাকে দুই পক্ষের লোকজন।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভার কাজে কারও বাধা দেওয়া উচিত নয়। তা সে যে দলেরই হোক না কেন। এতে কোনও লাভ হবে না। বেআইনি কাজ বরদাস্ত করা হবে না। ১৫ দিনের মধ্যে নিজেরা ব্যবস্থা না নিলে ফের তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।’’ বর্তমান পুর কর্তৃপক্ষ বেআইনি নির্মাণের বিপক্ষে বললেও তাঁরা অনেক বেআইনি নির্মাণ প্রশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভার কাজে কে বাধা দিয়েছে জানি না। তবে পুরসভা বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে সদিচ্ছা দেখালে সবার আগে তাঁদের দলীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলা উচিত।’’
পুরসভার সহকারী বাস্তুকার দীপক দত্ত জানান, ওই ব্যক্তি দুটি তলা মিলিয়ে প্রায় ৬৭ বর্গফুট বেআইনি নির্মাণ করেছেন। পুরসভার পক্ষ থেকে তাঁকে তিনটি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। উনি কোনওটারই উত্তর দেননি। এরপরেই পুরসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভবনের বেআইনি অংশ ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এদিন বেশ কিছু লোক বাধা দেয় বলে তিনি জানান। বিষয়টি কমিশনারকে জানানো হয়েছে। তিনি স্থগিত রাখতে বলায় আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। দীপকবাবু বক্তব্য, ‘’১৫ দিনের মধ্যে নিজেই ওই ব্যক্তি বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেললে ঠিক আছে, না হলে ফের এসে তা ভেঙে ফেলবে পুরসভা।’’ বাড়ির মালিক পেশায় মোটর যন্ত্রাংশের ব্যবসায়ী। সুভাষবাবুর স্ত্রী ও কন্যা উপস্থিত থাকলেও তাঁরা এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে সুভাষবাবুর স্ত্রীকে দিয়ে একটি হলফনামা লিখিয়ে নেয় পুর সভার আধিকারিক। তাতে ১৫ দিনের মধ্যে তাঁরা নিজেরাই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলবেন বলে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy