—প্রতীকী চিত্র। Sourced by the ABP
আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে শুধু বাজার থেকে টাকা তোলাই নয়। কাবুলিওয়ালাদেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা। সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে এমনই দাবি সেই সমবায় সমিতির এক কর্মীর। জেরার মুখে সিবিআইয়ের কাছে ওই কর্মীর অভিযোগ, তাদের সমিতিতে ঋণখেলাপির সংখ্যা অন্তত সাড়ে চার হাজার। ওই কর্মীর দাবি সত্যি কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। তবে মোটা টাকা ঋণ নিয়ে খোদ সমবায় সমিতির কর্মীদের একাংশও যে তা মেটাননি, সে তথ্যও জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। আর সে জন্যই এ বার কর্মীদেরও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ কাজ শুরু হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর। তাদের পাশাপাশি, কয়েক জন ব্যবসায়ীকেও বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের ডাকে আলিপুরদুয়ার জংশনে রেলের অতিথি নিবাসে বৃহস্পতিবার বেলার দিকেই পৌঁছে গিয়েছিলেন সমবায় সমিতির একাধিক কর্মী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের দীর্ঘ সময়ের জিজ্ঞাসাবাদের পরে, সমবায় সমিতির এক ‘লোন ক্লার্ক’ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আলিপুরদুয়ারের এই মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির ঋণখেলাপির সংখ্যা অন্তত সাড়ে চার হাজার জন, যা তিনি সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়েছেন। রেলের অতিথি নিবাস থেকে বেরিয়ে সমবায় সমিতির আর এক কর্মী দাবি করেন, ঋণখেলাপির সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকায়, একটা সময় আমানতকারীদের গচ্ছিত অর্থ কী ভাবে ফেরত দেওয়া যায়, তা নিয়েও চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা।
সে সময় বাজারে বেশ কিছু ব্যবসায়ীর থেকে সুদে টাকা নেওয়ার কাজ শুরু হয়। ওই কর্মীর দাবি, সে সময় কাবুলিওয়ালাদেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন সমিতির কেউ কেউ। কিন্তু তাঁদের সুদের হার বেশি থাকায়, পিছিয়ে আসতে হয়।
সিবিআই সূত্রের খবর, এই সব তথ্য ঠিক কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি, সমবায় সমিতির কর্মীদের একটা অংশও যে সেখানকার ঋণখেলাপির তালিকায় রয়েছেন, সেটাও তারা জানতে পেরেছে। সমিতির এক কর্মীর অভিযোগ, সমিতিতে এমন কর্মীও রয়েছেন, যিনি এক বার ঋণখেলাপি হওয়া সত্ত্বেও, আবার তাকে ঋণ দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই ঋণের সেই টাকাও সমিতির ঘরে জমা পড়েনি।
রেলের অতিথি নিবাসে এ দিন শহরের বেশ কয়েক জন ব্যবসায়ীকেও ডেকে পাঠান সিবিআই আধিকারিকেরা। অভিযোগ, আর্থিক সঙ্কটের সময় সুদের বিনিময়ে ওই ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা তুলেছিল সমিতি। তবে আমানতকারীদের দাবি, সমিতির অন্দরে থাকা ঋণখেলাপিদের পাশাপাশি, এ বার বাইরের ঋণখেলাপিদেরও সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করুক। এবং টাকা উদ্ধার করে আমানতকারীদের তা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা হোক। তদন্তের গতি আরও বৃদ্ধি পাক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy