পুরো ঘটনায় বিরক্ত ওই ঘটনায় জড়িয়ে পড়া আদিবাসী মহিলারা।
আদিবাসী সমাজে দণ্ডী কাটার মতো কোনও ধর্মীয় নীতি নেই বলেই দাবি করছে আদিবাসী সংগঠনগুলি। তাই দণ্ডী কাণ্ডকে ‘মধ্যযুগীয় নাকখত’ বলেই দাবি করছে জেলার আদিবাসী যৌথমঞ্চ। পুরো ঘটনায় বিরক্ত ওই ঘটনায় জড়িয়ে পড়া আদিবাসী মহিলারা। সোমবার রাজ্য মহিলা কমিশনের সঙ্গে কথা বলেন সংগঠনের নেতারা। কিন্তু তা নিয়ে বাইরে কোনও কথা বলতে চাননি। সোমবার বালুরঘাটে সার্কিট হাউসে মহিলা কমিশনের সদস্যা সুজাতা পাকড়াশি লাহিড়ী বলেন, ‘‘ঘটনা খুবই খারাপ হয়েছে। ওই মহিলাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’’
তপন থানায় দণ্ডী কাটার ঘটনা নিয়ে অভিযোগ হয়েছে। কিন্তু এফআইআরে অভিযুক্তের নাম নেই কেন? জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, ‘‘সঠিক আইনে মামলা রুজু করেই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। মহিলাদের গোপন জবানবন্দীও আদালতের কাছে সোমবার জানানো হয়েছে। দোষী কে বা কারা তা চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে।’’
এ দিনই বালুরঘাটে অভিযুক্ত নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেফতারের শহরে মিছিল করে বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ও সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ। পরে, বালুরঘাট থানার সামনে একটি সভা হয়। সুকান্ত বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি, তৃণমূল আপনাকে সংবর্ধনা দিচ্ছে। কিন্তু জেলায় আদিবাসীদের সঙ্গে আচরণের বাস্তবটা কত কুৎসিত।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, ‘‘প্রদীপ্তাকে গ্রেফতারের দাবি তোলার কোনও ব্যাপার নেই। আইন তার নিজের পথে চলবে।’’
ঘটনার পরে ওই আদিবাসী মহিলাদের বাড়ি গিয়েছিল আদিবাসীদের ছ’টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। সংগঠনের সভাপতি সুনীল বাঘোয়ার বলেন, ‘‘এ রকম ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না হয়, সে দাবিই তুলেছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy