দু’-তিন বছর একা পথ চলার পর এক এক করে মহিলারা যোগ দেন পুজোয়। নিজস্ব চিত্র।
পুজো শুরু করেছিলেন একা এক মহিলা। নিজের বাড়িতে। ধীরে ধীরে স্থানীয় মহিলারা পাশে দাঁড়ান। এখন শিলিগুড়ির মাতৃ কুটিরের পুজোয় পৌরোহিত্য থেকে ভোগ পরিবেশন— সব কাজ একা হাতে সামলান মেয়েরা।
প্রিয়ম্বদা বিশ্বাস নিজের বাড়িতে একাই পুজো করতেন। সারদা মায়ের পাশাপাশি পূজিত হতেন দেবী দুর্গাও। দু’-তিন বছর একা পথ চলার পর এক এক করে মহিলারা যোগ দেন পুজোয়। মাতৃকুটিরের পুজো প্রতিপদ কল্পরম্ভাতে ঘট স্থাপন করে শুরু হয়। ষষ্ঠীতে হয় বোধন৷ মহিলা দ্বারা পরিচালিত পুজো শহরবাসীর নজর কাড়ে। ভিড় বাড়ে অষ্টমীতে। কুমারী পুজো দেখতে আট থেকে আশি ভিড় জমান মাতৃ কুটিরে৷
বহু বছর আগেই প্রথা ভেঙে মহিলা পুরোহিত এই পুজো করেন। পুজোর চার দিন রান্না থেকে পরিবেশন, সবটাই করেন ওই মহিলারাই। সারা বছর যে যেখানেই থাকুন না কেন, পুজোর সময় একত্রিত হন সকলে৷ কোনও সদস্যপদের বালাই নেই৷
পুজো শুরু করেছিলেন প্রিয়ম্বদা বিশ্বাস। আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা প্রিয়ম্বদা বৈবাহিক সূত্রে এখন শিলিগুড়ির বাসিন্দা। নিজের বাড়িতে একাই পুজো করতেন। তিনি জানান, ‘‘কোনও পরিকল্পনা ছিল না। সকলে মিলে জুড়তে জুড়তে এ ভাবেই বছরের পর বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে৷ ভালবেসে একটা নাম ঠিক করে দেওয়া হয় মাতৃকুটির। আমাদের পুজোর বয়স ১০ বছরের বেশি৷ তখন থেকেই মহিলা পুরোহিত দ্বারা পুজো হয়ে আসছে। তার মানে এই নয় যে, পুরুষদের অংশগ্রহণ বারণ। অনেকেই আসেন। পুজো দেখেন, প্রসাদ নেন।’’
পুজোয় অংশগ্রহণকারী নিবেদিতা চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘পুজোর ক’টা দিন আমাদের এখানে কাটাতেই ভাল লাগে। এখন পুজোটা নিজেদেরই হয়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy