পড়শি এক বৃদ্ধ দিনের পর দিন নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ।
পড়শি বৃদ্ধের ধর্ষণে এক বালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। সেই নাবালিকা শনিবার মৃত সন্তান প্রসব করল। তারপরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। রবিবার সকাল হতেই অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মহিলারা। অভিযুক্তের স্ত্রী জানান, দোষ করে থাকলে তাঁর স্বামীর সাজা হওয়া উচিত।
গত রবিবার আলিপুরদুয়ার শহর সংলগ্ন একটি গ্রামে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর পেটে ব্যথা হওয়ায় তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। পরে জানা যায় কিশোরীটি অন্তঃসত্ত্বা। পড়শি এক বৃদ্ধ দিনের পর দিন তাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সুবল বর্মণ নামে অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে।
শনিবার রাতে নাবালিকার রক্তপাত শুরু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে সে মৃত সন্তান প্রসব করে। কিশোরীর শারীরিক অবস্থারও অবনতি হতে থাকে। আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার চিন্ময় বর্মন জানান, নাবালিকা কুড়ি থেকে বাইশ সপ্তাহের একটি মৃত সন্তান প্রসব করে। তবে তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমানে ওই নাবালিকার অবস্থা স্থিতিশীল।’’
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যা শিপ্রা মজুমদার জানান, ওই নাবালিকার পরিবার খুবই দরিদ্র। শনিবার রাতে হঠাৎ নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাতে ঘরেই নাবালিকার রক্তপাত হয়। তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মুখপাত্র রাতুল বিশ্বাস বলেন, ‘‘নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা জানার পরেও স্থানীয় প্রশাসনের তরফে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার বাড়িতে কোনও স্বাস্থ্যকর্মী যাননি।’’ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা প্রতিমা বিশ্বাস জানান, বিষয়টি তিনি পরে জেনেছেন।
স্থানীয় মহিলারা জানান, অভিযুক্তের পরিবারের তরফে সামান্য কোনও সাহায্যও করা হয়নি নাবালিকার পরিবারকে। এ দিন স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তের বাড়ি গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। আজ, সোমবার, দোষীর কঠোর শাস্তির দাবিতে এলাকায় মোমবাতি মিছিল করা হবে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি জয়েদেব ঘোষ জানান, গত বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত সুবল বর্মনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রেখে তাঁকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy