—প্রতীকী ছবি।
উপনির্বাচন এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার জায়গায় সিতাইয়ে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবীণ থেকে নবীন— একাধিক নেতা ইতিমধ্যেই ওই আসনে প্রার্থী হতে চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন কলকাতার নেতৃত্বের কাছে। রাজবংশী সংগঠনের এক নেতাও তাঁর ভাইপোকে তৃণমূলের প্রার্থী করতে চেয়ে তৃণমূল নেত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন। সিতাইয়েরই শাসক দলের এক নেত্রী এবং এক নেতাও সেখানে প্রার্থী পদের দাবিদার। ‘শিকে ছিঁড়বে কার’— সে দিকেই এখন নজর সবার।
জগদীশ এ বারের লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসন থেকে জিতে সাংসদ হয়েছেন। এর পরেই তিনি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রার্থীর বিষয় দল ঠিক করবে। আমরা দলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে রয়েছি।’’ দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকেরও একই বক্তব্য। তিনি বলেন, ‘‘উপনির্বাচনে আমরা বিপুল ভোটে জয়ী হবো, এটুকু বলতে পারি। কারণ মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন।’’
সিতাই বরাবর কোচবিহারে তৃণমূলের ‘শক্ত ঘাঁটি’ বলেই পরিচিত। ২০১৬ সালে প্রথম বার ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন জগদীশ। এর পরে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসনে হেরে যায় রাজ্যের শাসক দল। সেই সময়েও সিতাই থেকে বড় অঙ্কের ভোটে ‘লিড’ পেয়েছিল তৃণমূল। ২০২১ সালের নির্বাচনেও ওই কেন্দ্র থেকে দশ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য বিধায়ক হন জগদীশ। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে তিনি কোচবিহার আসনে জয়ী হন। সিতাই থেকে বিপুল অঙ্কের ভোটে ‘লিড’ পান তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই মনে করা হচ্ছে, ওই কেন্দ্রে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে জগদীশের বক্তব্যকে আলাদা ভাবে গুরুত্ব দেবে দল।
কিন্তু তা বলে কেউ ‘পিছিয়ে’ থাকতে চাইছেন না। কারণ প্রত্যেকেই ধরে নিয়েছেন, ওই কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়ানো মানে জয় নিশ্চিত। ওই আসন তফসিলি জাতির প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত। রাজ্যের শাসক দলে তফসিলি সম্প্রদায়ের একাধিক বড় নেতা রয়েছেন। যাঁদের অনেকেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ সিতাইয়ে প্রাথী হতে চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন। আবার কোচবিহার আসনে এ বার তৃণমূলের জয়ের পিছনে এক রাজবংশী সংগঠনের নেতার সহযোগিতা রয়েছে বলেও মনে করছে তৃণমূল। দলের অন্দরের খবর, সেই নেতাও নাকি তাঁর ভাইপোকে বিধায়ক নির্বাচিত করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। তিনি তাঁর ভাইপোকে সিতাইয়ে প্রার্থী করার আর্জি জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy