Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

কী হবে নতুন কৃষি আইনে, উঠছে প্রশ্ন

কোচবিহার জেলার বাসিন্দাদের অধিকাংশই কৃষিকাজের উপরে নির্ভরশীল। স্বাভাবিক ভাবেই নতুন কৃষি আইনের দিকে নজর রয়েছে সকলের। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, একাধিক বছর নিজেদের তৈরি ফসলের ঠিক দাম না পেয়ে কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:১৪
Share: Save:

অত্যাবশ্যক পণ্য আইনে সংশোধনী বিলে চাল, ডাল, আলু, গম, ভোজ্য তেল, তৈলবীজ যত ইচ্ছে মজুতের ছাড়পত্র দিয়েছে। ফলে মজুতদারদের এখন রমরমা। অভিযোগ, এই সুযোগে কোচবিহারে আলুর দাম ঠেকেছে কেজি প্রতি ৪০ টাকায়। গোটা রাজ্যেই অবশ্য একই অবস্থা। ফলে, আগামীতে কি হবে? জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্স নামবে কিনা, নাকি পুরো নিয়ন্ত্রণ যাবে বহুজাতিক সংস্থার হাতে? সে সব নিয়েই এখন উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূল ওই আইনের বিরোধিতা করে শুরু করেছে অবস্থান-বিক্ষোভ। বিজেপির অবশ্য দাবি, ওই আইনে লাভবান হবেন কৃষকেরাই। পাল্টা পথে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে তারাও।

বৃহস্পতিবার কোচবিহারের খাগরাবাড়িতে তৃণমূলের কৃষক সংগঠন ওই আইন বাতিলের দাবি করে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে। সেখানে উপস্থিত তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “কৃষকদের চূড়ান্ত ক্ষতির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ওই আইনে কৃষকের উৎপাদিত ফসলের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি চলে যাবে বহুজাতিক সংস্থার হাতে। এটা মেনে নেওয়া হবে না। সরকারকে কৃষকের সহায়ক মূল্য দিতে হবে। ন্যায্য দামে কৃষিপণ্য কিনতে হবে।” বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতী রাভা অবশ্য জানান, কৃষি আইনের সমর্থনে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে পথে নামবেন তাঁরা। তিনি বলেন, “কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থেই ওই আইন করেছে কেন্দ্র। তৃণমূল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।”

কোচবিহার জেলার বাসিন্দাদের অধিকাংশই কৃষিকাজের উপরে নির্ভরশীল। স্বাভাবিক ভাবেই নতুন কৃষি আইনের দিকে নজর রয়েছে সকলের। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, একাধিক বছর নিজেদের তৈরি ফসলের ঠিক দাম না পেয়ে কৃষকদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। আবার কখনও ফসলের দামও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যার প্রভাব পড়ে গ্রাহকদের উপরে। ওই অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের টাস্ক ফোর্স ময়দানে নেমেছে। আলু ও আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে-বাজারে ঘুরছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যেরা। আলু কত হিমঘরে রয়েছে, প্রতিদিন কত আলু সেখান থেকে বেরোচ্ছে, তা কোথায় যাচ্ছে— নথিবদ্ধ করছেন তাঁরা। তাতে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে দাম। দিনহাটা মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক রানা গোস্বামী বলেন, “এই আইনে বহুজাতিক সংস্থার হাতে চলে যাবে সব। চুক্তিভিত্তিক চাষ হবে, পণ্য মজুত করা হবে। ওঁরাই সব নিয়ন্ত্রণ করবে। তাতে কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষকেও ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে টাস্ক ফোর্সেরও আর কিছু করার থাকবে না।”

অন্য বিষয়গুলি:

Coochbehar Farm Bill 2020
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy