ছবি: সংগৃহীত।
লকডাউনেও হল প্রাক্তন ও বর্তমান পুরপ্রধানের তরজা।
ইংরেজবাজারের পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে ত্রাণসামগ্রী পাচারের অভিযোগ তুলে সরব হলেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলরেরা। দলের অন্দরমহলের খবর, বুধবার সকালে তা নিয়ে পুরসভা ভবনেই বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন নীহার ও কৃষ্ণেন্দু। হইচই পড়ে পুরকর্মী এবং আধিকারিকদের মধ্যে। অন্য কাউন্সিলরদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যদিও ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়েছেন নীহার।
ইংরেজবাজার পুরসভার গুদামে দীর্ঘদিন ধরে মজুত রয়েছে ত্রাণসামগ্রী। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতবস্ত্র, শিশুদের পোশাক, ত্রিপল এবং খেলার সামগ্রী সেখানে রয়েছে। বন্যা, অগ্নিকাণ্ডে কোনও পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলে সে সব সামগ্রী দেওয়া হয়। এ দিন সকালে পুরপ্রধানের গাড়িতে করে পুরসভার গুদাম থেকে সে সব ত্রাণসামগ্রী বের করার চেষ্টা চলছিল বলে অভিযোগ করেন দলেরই কাউন্সিলরের একাংশ। এর পরেই কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ কাউন্সিলর নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, প্রসেনজিৎ দাসদের সঙ্গে পুরসভায় যান। অভিযোগ, সেই সময় পুরসভার গুদামের বাইরে প্যাকেটে ভরা ছিল ত্রাণসামগ্রী। তা নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায় পুরসভায়।
সেই সময় পুরসভায় আসেন পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন। তিনি ত্রাণ সামগ্রী পাচারের অভিযোগ মানতে অস্বীকার করেন। অভিযোগ, নীহার ও কৃষ্ণেন্দুর মধ্যে শুরু হয় বাদানুবাদ। অন্য কাউন্সিলরেরা পরিস্থিতি সামলান। কৃষ্ণেন্দু এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। নরেন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘কাউকে না জানিয়েই পুরপ্রধান নিজের গাড়িতে করে ত্রাণসামগ্রী পুরসভা থেকে পাচার করছেন। ত্রাণসামগ্রীর দায়িত্ব এক অস্থায়ী কর্মীকে দিয়েছেন। স্থায়ী কর্মীদেরই এই দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। লকডাউন পরিস্থিতিতেও পুরপ্রধান দুর্নীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।”
নীহার বলেন, ‘‘কাউন্সিলরদের সঙ্গে ত্রাণের বিষয়ে আগাম আলোচনা করা হয়েছিল। ত্রাণসামগ্রী কাউন্সিলরদের বাড়িতেই পৌঁছনো হচ্ছে। কারন সে সব ত্রাণসামগ্রী পুরনো। নতুন সামগ্রী মজুত করা হবে।’’ বিরোধীদের উস্কানিতেই আমাদের কিছু কাউন্সিলর ভুল বুঝেছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিরোধী কাউন্সিলর সিপিএমের দুলালনন্দন চাকি বলেন, “পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে নিজেদের দলেরই কাউন্সিলরেরা প্রশ্ন তুলছেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে কী ভাবে চলছে পুরসভা।”
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy