Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Pradhan Mantri Awas Yojana

নামফলকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা লিখতে ‘নির্দেশ’ রাজ্য সরকারের

রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে বার বার বিতর্ক ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, গত মাসেই প্রতিটি পুরসভায় রাজ্য নগরোন্নয়ন সংস্থা বা ‘সুডা’র তরফে এই নির্দেশে এসেছে।

An image of a house

আবাস যোজনার প্রকল্পের ‘সবার জন্য বাড়ি বা হাউসিং ফর অল’ নাম বদলে লেখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। ডালখোলা শহরের একটি বাড়িতে। মঙ্গলবার। —নিজস্ব চিত্র।

মেহেদি হেদায়েতুল্লা
উত্তর দিনাজপুর শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:৩৬
Share: Save:

এ বার পুর-এলাকায় সরকারি আবাস ‘হাউস ফর অল’ বা ‘সবার জন্য বাড়ি’ প্রকল্পে তৈরি বাড়ির ফলকে বাধ্যতামূলক ভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহর)-সহ নানা বার্তা লেখার নির্দেশ এল। নির্দেশ পাওয়ার পরে, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইসলামপুর ও ডালখোলা পুরসভা আবাস যোজনার ফলক বদল নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি মাসে জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের আসার কথা। তার আগে, ফলক বদলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নামফলক বদল না হলে, কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দ থেকে পুরসভা বঞ্চিত হতে পারে।

রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে বার বার বিতর্ক ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, গত মাসেই প্রতিটি পুরসভায় রাজ্য নগরোন্নয়ন সংস্থা (স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি) বা ‘সুডা’র তরফে এই নির্দেশে এসেছে। সে নির্দেশ মেনেই জেলার চারটি পুর-এলাকায় বেশ কয়েক দিন ধরেই এ কাজ শুরু হয়েছে। রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপ্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘নির্দেশ মতো কাজ হচ্ছে।’’ আগে গ্রামীণ এলাকায় সরকারি আবাস যোজনার ফলকে ‘বাংলা আবাস যোজনা’র নাম মুছে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ লেখার ঘটনা ঘটেছে। শহরের ‘সবার জন্য বাড়ি’-প্রকল্পের বাড়িতে তা ছিল না বলে অভিযোগ। বিরোধীরা তো বটেই, শাসক দলের পুরপ্রতিনিধিদের একাংশের অভিযোগ, এমন বহু মানুষ আছেন, যাঁদের একাধিক পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও পুরসভার ‘সৌজন্যে’ বাড়ি পেয়েছেন। ফলক দেওয়া বাধ্যতামূলক হওয়ায়, অযোগ্য হয়েও যাঁরা বাড়ি নিয়েছেন তাঁরা ধরা পড়ার ভয় পাচ্ছেন বলে দাবি বিরোধীদের। ইসলামপুর পুরসভার পুরপ্রধান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘নির্দেশ কার্যকর করা হবে।’’

গ্রামীণ এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস প্রাপকদের মতো আর্থ-সামাজিক ও জাতিগত সমীক্ষার উপরে ভিত্তি করে শহরে বাড়ি পাওয়ার মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয় না। শহর অঞ্চলে বসবাসকারী অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য বাড়ি দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে মোট বরাদ্দ তিন লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। কেন্দ্র দেয় দেড় লক্ষ, রাজ্য দেয় এক লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। বাকি ২৫ হাজার টাকা প্রকল্পের উপভোক্তাকে দিতে হয়। কানাইয়ালালের দাবি, ‘‘এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ির পাশাপাশি বাংলার বাড়ি লেখা যেতে পারে।’’ ডালখোলার পুরপ্রধান স্বদেশ সরকার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসার কথা রয়েছে। তার আগে, নামের ফলক বদলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুর দফতর। ফলকে ইংরেজি ও বাংলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লেখার পাশাপাশি, উপভোক্তার নাম, কোন অর্থবর্ষের টাকায় বাড়িটি তৈরি হয়েছে, কত টাকায় তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে কেন্দ্র রাজ্য এবং উপভোক্তাদের অংশ কতটা সবই লিখতে হবে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy