শুক্রবারও মালদহে চরম বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ফুলহার নদী। বৃহস্পতিবারের তুলনায় এদিন অবশ্য নদীর জলস্তর ২০ সেন্টিমিটার কমেছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ার প্লাবিত এলাকাগুলির পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
গত পাঁচদিন ধরে কর্মহীন হয়ে খাবারের জিনিসপত্র ফুরিয়ে আসছে বাসিন্দাদের। বেশ কিছু এলাকায় একবেলা খেয়ে কোনওমতে দিন কাটছে। এই অবস্থায় এখনও দুর্গত এলাকাগুলিতে ত্রাণ পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। দুর্গতদের দ্রুত ত্রাণের দাবিতে সরব হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও। শুক্রবার থেকে অবশ্য দুর্গত এলাকাগুলিতে শুকনো খাবার বিলি করার কাজ শুরু হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। চাঁচলের মহকুমাশাসক পুষ্পক রায় বলেন, ‘‘ত্রিপল ছাড়াও চিড়ে, গুড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সঙ্গে দুর্গতরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছতে কিছুটা দেরি হচ্ছে।’’
প্রশাসন জানায়, এলাকাগুলির নলকূপ জলে ডুবে রয়েছে। তাদের পাউচে ভরা জল দেওয়া হচ্ছে। যাতে রোগ না ছড়ায় সেজন্য চিকিত্সকদের তিনটি দল এলাকায় ঘুরে ঘুরে দুর্গতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। কিন্তু অসংরক্ষিত এলাকার গ্রামগুলিই প্লাবিত হয়েছে। গত বুধবার থেকেই হরিশ্চন্দ্রপুর ও রতুয়ায় চরম বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ফুলহার। এলাকাগুলির ফসল, পাকা রাস্তা, নলকূপ সবই জলের তলায়। বাসিন্দারা ঘরবাড়ি ছেড়ে বাঁধে বা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন! অনেকেই আবার বাড়ির ছাদে বা জলমগ্ন বাড়িতেই মাচা বেঁধে রয়েছেন! হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ও রতুয়া-১ ব্লকের অসংরক্ষিত এলাকায় সব মিলিয়ে দুর্গতের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার! ডিগ্রি এলাকার রফিকুল ইসলাম ফুলহারের বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। বললেন, ‘‘সামান্য চিড়ে ও গুঁড় মিলেছে। কিন্তু একটা ত্রিপলও জোটেনি। কবে ত্রিপল মিলবে জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy