প্রতীকী ছবি
প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াত থাকলেও হাসপাতাল চত্বরে এতদিন পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। যা নিয়ে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তেন রোগীর পরিজন বা চিকিৎসার জন্য আসা রোগীরা। এ বার সমাধান হতে চলেছে সেই সমস্যার, এমনটাই জানালেন রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, স্থানীয় একটি সমবায় ব্যাঙ্কের বরাদ্দ অর্থে সেখানে ওয়াটার এটিএম তৈরি হয়েছে। শীঘ্র তা সাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এর মধ্যেই ওই মেশিন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। কিছুদিন আগে পরীক্ষামূলক ভাবে তা থেকে পানীয় জল সরবরাহের কাজও সফল ভাবে শেষ হয়েছে বলে জানালেন তাঁরা।
হাসপাতালের সহকারি সুপার বিপ্লব হালদারের বক্তব্য, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত ওই ওয়াটার মেশিন চালু করে করার চেষ্টা করছেন। এটি চালু হলে পানীয় জলের অভাবের সমস্যাটি দূর হবে।’’ তাঁর দাবি, রোগীর পরিজনেরা ওই এটিএম থেকে ২ টাকার বিনিময়ে এক লিটার পরিস্রুত পানীয় জল নিতে পারবেন। এটিএমের গায়ে দু’টি ট্যাপকল থাকবে। মেশিনের নির্দিষ্ট জায়গায় দু’টাকা বা দু’টি এক টাকার কয়েন ফেললেই মিলবে পানীয় জল।
২০১৬ সালে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল চত্বরে ১০ তলার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চালু করে স্বাস্থ্য দফতর। গত বছরের নভেম্বরে রাজ্য সরকার জেলা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে উন্নীত করে। সেখানে এখন পুরুষ এবং মহিলা মেডিসিন ও সার্জিক্যাল ওয়ার্ড, প্রাক প্রসূতি বিভাগ ও প্রসূতি বিভাগ মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০০ রোগী ভর্তি থাকেন। ফলে দিনভর হাসপাতাল চত্বরে রোগীদের পরিবারের ভিড় লেগেই থাকে। এত দিন ওই চত্বরে পানীয় জল সরবরাহের কোনও পরিকাঠামো ছিল না, যার জেরে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হত প্রত্যকেই। উপায় না থাকায় বোতলবন্দি পানীয় জল কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। অনেকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের জন্য যে পানীয় জল সরবরাহের মেশিন রয়েছে সেখান থেকে জল সংগ্রহ করার চেষ্টা করতেন। সেই মেশিনও দীর্ঘদিন আগেই বিকল হয়ে যাওয়ায় রোগীদের পরিবারের লোকেদের দুর্ভোগ চরমে ওঠে।
এ অবস্থায় সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয় রায়গঞ্জের কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার তিলক চৌধুরীর দাবি, ‘‘হাসপাতাল চত্বরে ওয়াটার এটিএম বসাতে গত বছর মার্চে ব্যাঙ্কের তরফে ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। পরে সেই টাকায় স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতাল চত্বরে ওয়াটার মেশিন বসানোর কাজ শুরু করে।’’
হাসপাতালের তৃণমূল প্রভাবিত স্বাস্থ্যকর্মী সংগঠনের সভাপতি প্রশান্ত মল্লিকের দাবি, ‘‘এটা বহুদিনের দাবি ছিল। দেরিতে হলেও সেই কাজ হওয়ায় তাঁরা খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy