Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Flood

আরও বৃষ্টির পূর্বাভাসে চিন্তা 

চিন্তা বেড়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।আরও বৃষ্টি হলে জেলার বন্যা পরিস্থিতির কী হবে, তা নিয়েই উদ্বেগে প্রশাসন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৪৩
Share: Save:

দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকা এখনও জলমগ্ন রয়েছে। বিঘার পর বিঘা বেগুন, লঙ্কার গাছ পচে নষ্ট হয়ে গিয়েছে, ডুবে আছে ধান জমিও। পাশাপাশি বন্যায় ঘর ছাড়া কয়েক হাজার বাসিন্দা। আবহাওয়া দফতর আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। এখনই যা অবস্থা, আরও বৃষ্টি হলে জেলার বন্যা পরিস্থিতির কী হবে, তা নিয়েই উদ্বেগে প্রশাসন।

আশার কথা হল জেলার আত্রেয়ী, পুনর্ভবা থেকে টাঙ্গন—সব নদীরই জল কমছে, তবে খুব ধীরে। ফলে প্লাবিত এলাকা থেকে জল নেমে যাওয়ার গতি নেই বললেই চলে। বংশীহারির এলাহাবাদ, গাঙ্গুরিয়া অঞ্চল, গঙ্গারামপুরের বোরডাঙি এলাকা, তপনের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও প্লাবিত হয়ে আছে। দুর্গত বাসিন্দাদের মধ্যে ত্রাণ বিলি করছে স্থানীয় পঞ্চায়েতগুলি। বংশীহারির এলাহাবাদ অঞ্চলের উপ-প্রধান পার্থপ্রতীম মজুমদার বলেন, ‘‘এই অঞ্চলের ২০টির মধ্যে ১৫টি সংসদ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৭০০ ত্রিপল, চাল, আলু, সয়াবিন বিলি করা হচ্ছে দুর্গতদের মধ্যে।’’ বাড়িতে জল ঢুকে যাওয়ায় বহু মানুষ গৃহহীন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও প্রায় সাত হাজার বাসিন্দাকে বিভিন্ন এলাকায় থাকা ত্রাণ শিবিরগুলিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

কিন্তু কৃষি জমি থেকে জল না নামায় ধান ও আনাজ চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষি দফতর। জেলার তপন, গঙ্গারামপুর, কুমারগঞ্জ, বংশীহারির বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমি এখনও জলার তলায়। জেলার উপ-কৃষি অধিকর্তা আশিস বাড়ুই বলেন, ‘‘নতুন করে বৃষ্টি না হলে ধানের খুব বেশি ক্ষতি হবে না। তবে ফলন কমে যাবে। কিন্তু নতুন করে বৃষ্টি হলে জল বাড়বে। সে ক্ষেত্রে ধানের ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। জেলায় ক্ষতির হিসেব করা হচ্ছে।’’ ধান চাষের উপরে ক্ষতির প্রভাব এখনই বোঝা না গেলেও আনাজ চাষে যে এর মধ্যেই বিপুল ক্ষতি হয়ে গিয়েছে তা মানছেন প্রশাসনও। চাষিদের দাবি, লঙ্কা, বেগুন, পটল, উচ্ছে, ফুলকপি, বাঁধাকপির চারা বন্যার জলে মরে গিয়েছে।

আরও চিন্তা বেড়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। মাঝিয়ান কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সুমন সূত্রধর বলেন, ‘‘আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’ যা শুনে জেলার কৃষকদের ভয়, যেটুকু ফসল বেঁচে যাওয়ার আশা ছিল সেটাও হয়ত এ বার নষ্ট হয়ে যাবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Flood Rain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy