গরু চুরি করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক যুবক। গণধোলাইয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির বাংলাদেশ সীমান্তের রাজগঞ্জ ব্লকের বড়ুয়াপাড়া গ্রামে। গ্রামবাসীদের কয়েক জনকে আটক করে পুলিশ।
মৃত যুবকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে একদল চোর গরু চুরি করতে গ্রামে ঢোকে। পর পর দু’টি বাড়িতে হানা দেন তাঁরা। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাঁদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
রাতের অন্ধকারে গ্রামের সকলের চিৎকার চেঁচামেচিতে গরু ফেলে পালায় চোরের দল। বাংলাদেশ সীমান্ত-লাগোয়া একটি চা বাগানে কোনও রকমে লুকিয়ে পড়েন তাঁরা। কিন্তু গ্রামবাসীরাও নাছোড়বান্দা। গরু চোর ধরার জন্য তাঁরা চা বাগান ঘিরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন:
ভোরের আলো ফুটতেই চা বাগান থেকে পালাতে যায় চোরের দল। দলের এক জনকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। শুরু হয় গণধোলাই। যুবকের মৃত্যু হয় এর ফলে। চোরের ওই দলে বাকি যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কোনও রকমে পালিয়ে যান।
গণধোলাইয়ে মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ। কয়েক জনকে আটক করেছে তারা। তদন্ত চলছে। এদিকে যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে থানার সামনে শুরু হয় তুলকালাম। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় স্থানীয়দের। থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। তাঁদের সামলাতে পুলিশকে মৃদু লাঠিচার্জ করতে হয়েছে। গরু পাচার-কাণ্ডে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সেই আবহে জলপাইগুড়ির গ্রামে এমন ঘটনায় উত্তেজনার পারদ চড়েছে।