Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
North Dinajpur

Lakshmi Puja: বৃষ্টির দোসর আচমকা বন্‌ধ, লক্ষ্মীপুজোর আগে নাজেহাল উত্তর দিনাজপুর

শেষবেলায় পুজোর বাজার করতে বেরিয়ে নাজেহাল দশা অনেকের। লোকসানের আশঙ্কায় দোকানি থেকে প্রতিমাশিল্পীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

লক্ষ্মীপুজোর আগের দিনও ক্রেতা জোটেনি বহু প্রতিমাশিল্পীর।

লক্ষ্মীপুজোর আগের দিনও ক্রেতা জোটেনি বহু প্রতিমাশিল্পীর। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৮:১০
Share: Save:

একে মাঝরাত থেকে অঝোরে বৃষ্টি। সঙ্গে দোসর বন্‌ধ। ফলে লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন ঘরবন্দি হতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই। আবার শেষবেলায় পুজোর বাজার করতে বেরিয়ে নাজেহাল দশা অনেকের। লোকসানের আশঙ্কায় দোকানি থেকে প্রতিমাশিল্পীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। সব মিলিয়ে লক্ষ্মীপুজোর আগে বিপাকে পড়েছেন উত্তর দিনাজপুরের বহু বাসিন্দা।

সোমবার মাঝরাত থেকেই উত্তর দিনাজপুর জেলা জু়ড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলেও তা বিরামহীন। ফলে অনেকেই বাড়ির বাইরে পা রাখেননি। তবে এই দুর্যোগের মধ্যেই লক্ষ্মীপুজোর কেনাকাটার জন্য রাস্তায় বেরিয়েছেন হাতেগোনা মানুষ। কিন্তু, বিজেপি-র ডাকা বন্‌ধের ফলে তাতেও অসুবিধায় পড়েছেন বলে অভিযোগ তাঁদের।

লক্ষীপুজোর মুখে লোকসানের আশঙ্কায় দোকানিরা।

লক্ষীপুজোর মুখে লোকসানের আশঙ্কায় দোকানিরা। —নিজস্ব চিত্র।

প্রসঙ্গত, বিজেপি-র উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি মিঠুন ঘোষের খুনের প্রতিবাদে জেলা জুড়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত বন্‌ধ ডেকেছিল গেরুয়া শিবির। যদিও লক্ষীপুজোর কেনাকাটার জন্যই বন্‌ধের সময় কম করে ৮ ঘণ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই বন্‌ধে জেলায় মিশ্র প্রভাব পড়েছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত বন্‌ধ সমর্থনকারীদের দেখা পাওয়া যায়নি। রায়গঞ্জ শহরে বেশ কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও যানবাহন তম। ইসলামপুর শহরে বেশির ভাগ দোকান-বাজার খোলা। যানবাহনও চলছে। কিন্তু তাতেও বিপত্তি কাটেনি সাধারণের। উৎপল রায় নামে এক বাসিন্দার মতে, ‘‘বন্‌ধ হলেও লক্ষ্মীপুজোর জন্য জিনিসপত্র তো কিনতেই হবে।’’

উত্তর দিনাজপুরে বন্‌ধের দিনেও পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।

উত্তর দিনাজপুরে বন্‌ধের দিনেও পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। —নিজস্ব চিত্র।

বন্‌ধের জেরে জেলার বহু মানুষ বাড়ির বাইরে বার হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। আবার দোকান খুলতে পারেননি অনেকেই। অভিযোগ, যে ক’টি দোকান খোলা রয়েছে, তাতে জিনিসপত্রে চড়া দাম হাঁকিয়ে বসেছেন দোকানিরা। উৎপল বলেন, ‘‘একে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তার উপর বন্‌ধের জন্য বহু দোকানপাট খোলেনি। যে ক’টি দোকান খোলা, তাতে জিনিসপত্রের দাম বেশ চ়ড়া। বাঙালির পুজোপার্বণের মধ্যে এ সময় বন্‌ধ না করলেই ভাল হত।’’ অন্য দিকে, রাস্তায় বার হলেও যানবাহনের অভাবে নাকাল হয়েছেন ক্রেতারা। ক্রেতা কম থাকায় প্রতিমাশিল্পীদের বাজারও মাটি হতে বসেছে। বন্‌ধের মধ্যেই মোহনবাটি এলাকায় লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে এসেছিলেন উকিলপাড়ার বাসিন্দা কুমকুম গুহ। তিনি বলেন, ‘‘লক্ষ্মীপুজোর মধ্যে বন্‌ধ হওয়ায় কেনাকাটায় খুব সমস্যা হচ্ছে। বন্‌ধ তো পরে ডাকলেও হত। একে বৃষ্টি। তার উপর জিনিসপত্রের চড়া দাম। সব মিলিয়ে খুবই অসুবিধায় পড়েছি।’’

পুজোর আগের দিনও ক্রেতা না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন প্রতিমাশিল্পী বিমলচন্দ্র পাল। তিনি বলেন, ‘‘একে বৃষ্টি, তার উপর পুজোপার্বণের মধ্যে হঠাৎ করে বন্‌ধ। টোটো বা রিকশা বন্ধ থাকা ফলে বাইরে থেকে ক্রেতারা বাজারে আসতে পারছেন না। আমরা ধারদেনা করে লক্ষ্মীর প্রতিমা তৈরি করেছি। আজকের মধ্যে প্রতিমা বিক্রি না হলে অনেক লোকসান হয়ে যাবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

North Dinajpur weather Strike Lakshmi Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy