Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

যৌননিগ্রহের প্রতিবাদে গুলি, মারপিট

অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে পুলিশের বিরুদ্ধে টিএমসিপির উত্তর দিনাজপুর জেলা নেতা দীপক মিশ্রকে পাল্টা মারধরের অভিযোগ ওঠে।

বিক্ষোভ: গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও টিএমসিপির। নিজস্ব চিত্র

বিক্ষোভ: গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও টিএমসিপির। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ০৭:০১
Share: Save:

এক তরুণীর যৌন হেনস্থা ও তাঁকে মারধরের অভিযোগের জেরে উত্তেজনা ছড়াল রায়গঞ্জে। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ শহরের বকুলতলা মোড় এলাকার ঘটনা। ঘটনার প্রতিবাদ করায় টিএমসিপির একদল নেতা-কর্মীর সঙ্গে অভিযুক্তদের মারপিট বেধে যায়। সেইসময় অভিযুক্তেরা শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে গন্ডগোল থামানোর চেষ্টা করে। অভিযুক্তেরা পুলিশকর্মীদেরও মারধর করে বলে অভিযোগ।

এদিকে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে পুলিশের বিরুদ্ধে টিএমসিপির উত্তর দিনাজপুর জেলা নেতা দীপক মিশ্রকে পাল্টা মারধরের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও দীপককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের শাস্তির দাবিতে টিএমসিপির শতাধিক সদস্য রায়গঞ্জ থানা চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ চলাকালীন আন্দোলনকারীরা থানা চত্বরে একাধিক ফুলের টব ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পুলিশের সঙ্গে টিএমসিপির সদস্যদের একাংশের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে টিএমসিপির জেলা সভাপতি অনুপ কর, রায়গঞ্জ পুরসভার তৃণমূলের উপ-পুরপ্রধান অরিন্দম সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এরপর তাঁদের পরামর্শে ওই তরুণী দুই যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে যৌন হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের দাবি, দুষ্কৃতীদের মারে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ অফিসার সন্দীপ চক্রবর্তী ছাড়াও তিন পুলিশকর্মী জখম হন। রাতে সন্দীপকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে বুধবার ভোরে তিনি ছাড়া পান। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে পুলিশকে মারধর কিংবা থানায় ভাঙচুরের অভিযোগে কারও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়নি।

রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার পুলিশকে মারধর ও থানায় ভাঙচুরের অভিযোগের প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘ওই তরুণীর যৌন হেনস্থা ও মারধরের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। লাঠিচার্জ ও শূন্যে গুলি চলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ কাউকে মারধর করেনি।’’ টিএমসিপির জেলা সভাপতি অনুপের দাবি, ‘‘টিএমসিপির কোনও নেতা বা সদস্য পুলিশকে মারধর কিংবা থানায় ভাঙচুর চালাননি।’’

রায়গঞ্জ পুরসভার তৃণমূলের উপ-পুরপ্রধান অরিন্দমের অভিযোগ, ওইদিন একদল দুষ্কৃতী শহরের টাউন ক্লাব লেনে কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীর যৌন হেনস্থা করে। ওই তরুণী এক দুষ্কৃতীকে চড় মারেন। সেই আক্রোশে পরে দুষ্কৃতীরা শহরের বকুলতলা মোড় এলাকায় তাঁকে মারধর করে। অরিন্দমের কথায়, ‘‘দীপকের নেতৃত্বে টিএমসিপির একদল সদস্য বকুলতলা মোড় এলাকায় ওই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার বদলে দীপককে মারধর করে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Violence Sexual Harassment TMCP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy