Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

মার্কিন কর্তাদের ‘নজরে শিলিগুড়ি’

মাস খানেক আগেই কলকাতার মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্রেগ হল শিলিগুড়ি ঘুরে গিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার এসেছিলেন ভাইস কনসাল জেনারেল সহ কলকাতার কনস্যুলেটের কয়েকজন অফিসার।

পরিদর্শনে: শিলিগুড়িতে মার্কিন কনস্যুলেটের কর্তারা। নিজস্ব চিত্র

পরিদর্শনে: শিলিগুড়িতে মার্কিন কনস্যুলেটের কর্তারা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:১০
Share: Save:

সড়ক পথে জুড়তে চলেছে বাংলাদেশ-নেপাল-ভুটান। তিন প্রতিবেশী দেশে সড়ক যোগের কেন্দ্রে রয়েছে শিলিগুড়ি। আগামী দিনে আন্তর্দেশীয় যোগাযোগ শুরু হলে বদলে যেতে পারে শিলিগুড়ির বাণিজ্য চালচিত্র। সে কথা মাথায় রেখে আমেরিকান কনস্যুলেট আপাতত ‘নজরে শিলিগুড়ি’ নীতি নিয়ে এগোতে চাইছে।

মাস খানেক আগেই কলকাতার মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্রেগ হল শিলিগুড়ি ঘুরে গিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার এসেছিলেন ভাইস কনসাল জেনারেল সহ কলকাতার কনস্যুলেটের কয়েকজন অফিসার। সে দিনই মাটিগাড়ায় আইটি-পার্কে একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা ঘুরে দেখে দলটি। শুক্রবার ভাইস কনসাল জেনারেল জুলি এস্পিনো বলেন, ‘‘দু’দেশের মধ্যে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক এবং বাণিজ্যিক আদানপ্রদান চলছে। সেই লক্ষ্যেই আমরা উত্তরবঙ্গে মনোযোগ দিয়েছি। উত্তরবঙ্গে আমাদের কর্মকাণ্ড ধীরে ধীরে আরও বাড়বে।’’

শিলিগুড়িতে নজর দিলেও শহরের পরিকাঠামোগত বিষয়ে বণিকমহলের নানা দাবিদাওয়া রয়েছে। উত্তর পূর্ব ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর হলেও কেন্দ্রের স্মার্ট সিটি প্রকল্পে এ শহর ঠাই পায়নি। যানজট সমস্যা মেটাতে মনো অথবা মেট্রোরেল চলাচলে শহরের দাবি থাকলেও তা নিয়েও কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করেনি। স্মার্টসিটির তকমা পেলে মেট্রোরেল চলাচলের পথও প্রশস্ত হত। প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের মধ্যেই এশিয়ান হাইওয়ে দিয়ে চলাচল শুরু হবে। এক দিকে নেপালের কাঁকরভিটা, বাংলাদেশের বাংলাবানধা এবং ভুটানের ফুন্টসিলিঙের সঙ্গে শিলিগুড়ির সড়ক যোগাযোগ তৈরি হয়ে যাবে। আন্তর্দেশীয় যোগাযোগ শুরুর আগে শহরের আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ পরিকাঠামো সংস্কার এবং সম্প্রসারণের প্রয়োজন রয়েছে বলে বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংগঠনগুলির অভিমত। কনস্যুলেটের প্রধান বাণিজ্যিক অফিসার জোনাথন ওয়ার্ড বলেন, ‘‘কনসাল জেনারেল নিজেই শিলিগুড়িতে এসেছেন। আগামীতেও আসবেন। পরিকাঠামো নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন-সরকার উদ্যোগী।’’

উত্তরবঙ্গে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান কেন্দ্রও গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করে কনস্যুলেট। জানানো হয়েছে, সারা বিশ্ব থেকে আমেরিকায় পড়াশোনা অথবা গবেষণা করতে যাওয়া প্রতি ৬ জনের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিক। জুলি সাংস্কৃতিক সমন্বয়ে বেশি জোর দিয়েছেন। তিনি বাংলা বলতে পারে। রবীন্দ্রনাথও পড়েছেন। কনসাল জেনারেলের স্ত্রী রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে পারেন বলেও জুলি জানিয়েছেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy