ফাইল চিত্র।
এ বার শিয়ালদহেও কোচবিহার তৃণমূলের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের’ ছবি ফুটে উঠল। মঞ্চের একদিকে বসলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, অন্যদিকে পার্থপ্রতিম রায়। কর্মী-সমর্থকেরাও কে কার অনুগামী— সেই হিসাবেই ভাগ হয়ে গেলেন। যা দেখে তৃণমূলেরই এক নেতা বললেন, “এই দ্বন্দ্ব আর মেটার নয়।” সোমবার সকালেই কোচবিহার থেকে কলকাতা পৌঁছন তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক। জেলার শীর্ষ নেতাদেরও কয়েকজন এ দিনই পৌঁছন। রবীন্দ্রনাথ বলেন, “কর্মী-সমর্থকরা যাঁরা জেলা থেকে একুশে জুলাইয়ের মিটিংয়ে যোগ দিতে এসেছেন তাঁদের যাতে অসুবিধে না হয় সেই বিষয়টি দেখার জন্যেই শিয়ালদহে ছিলাম। এর মধ্যে অন্য কোনও বিষয় নেই।” পার্থপ্রতিম বলেন, “জেলা থেকে প্রচুর মানুষ আসছেন। তাঁদের নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়া আমাদের কাজ। সেটাই করা হয়েছি।”
দলীয় সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচির প্রস্তুতি ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরেই দু’পক্ষের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছিল। এক পক্ষে ছিলেন দলের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ, দলের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, অপরপক্ষে দলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম, আব্দুল জলিল আহমেদের মতো নেতারা। রবিবার পদাতিক এক্সপ্রেসে রবীন্দ্রনাথ-পার্থপ্রতিমরা কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন। নিউ কোচবিহার স্টেশনে দুই নেতার অনুগামীরা ভিড় করেন। একে অপরকে লক্ষ্য করে অনুগামীরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। তা নিয়ে খানিক উত্তেজনা ছড়ায়। তার পরে এক ট্রেনে যাতায়াত করলেও কারও মধ্যে কোনও আলোচনা হয়নি। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচিতে যাঁরা যোগ দেবেন তাঁদের স্বাগত জানাতে শিয়ালদহ চত্বরে মঞ্চ তৈরি করেছে তৃণমূল। সেখানে এ দিন জ্যতিপ্রিয় মল্লিক-সহ কলকাতার আরও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। ওই মঞ্চেই বসে থাকতে দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ-পার্থপ্রতিমকে। এ ছাড়াও বিনয়কৃষ্ণ বর্মণও মঞ্চে ছিলেন।
তৃণমূল নেতাদেরই একজন জানান, পদাতিক এক্সপ্রেস থেকে পার্থপ্রতিমের কাছাকাছি গিয়ে জড়ো হন তাঁর অনুগামীরা। আবার অপরদিকে জড়ো হন রবীন্দ্রনাথের অনুগামীরা। এর পরেই নির্দেশ পেয়ে তাঁরা সেখান থেকে নিজেদের থাকার জায়গায় চলে যান। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার থেকে যারা কলকাতায় গিয়েছেন, তাঁদের একটি বড় অংশ নিজেরাই হোটেল ঠিক করে নিয়েছেন। নিচুতলার কিছু কর্মী দলের ঠিক করে দেওয়া জায়গায় গিয়েছেন। এ দিন গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, আব্দুল জলিল আহমেদের মতো নেতারা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। গিরীন্দ্রনাথ বলেন, “একদিন আগেই যাওয়ার কথা ছিল আমরা। কিন্তু হঠাৎ কিছু জরুরি কাজ পড়ায় একদিন পরে গিয়েছি।” বুধবার কি চিত্র দেখা যায় সে অপেক্ষাতেই সবাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy