প্রচার: ক্যালেন্ডার বিতরণ যুব তৃণমূলের। কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র
জনসংযোগে জেলায় ক্যালেন্ডার বিলিতে নেমেছে যুব তৃণমূল। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ইংরেজি বছরের ক্যালেন্ডার বিলি করা হচ্ছে। সোমবার সকালে কোচবিহার শহরের একাধিক এলাকায় ওই ক্যালেন্ডার বিলি করা হয়। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে জেলায় ২৫ হাজার ক্যালেন্ডার বিলির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে গত কয়েক দিনে প্রায় ১৭ হাজার ক্যালেন্ডার বিলিও করা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বাকি ক্যালেন্ডার বিলি করার চেষ্টাও হচ্ছে। যুব তৃণমূলের রাজ্য দফতর থেকে সমস্ত ক্যালেন্ডার বিলির জন্য পাঠানো হয়েছে।
যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘রাজ্য নেতৃত্বের পাঠানো ওই ক্যালেন্ডার বিলির কাজ সকালে মূলত করা হচ্ছে। ওই সময় প্রায় সকলেই বাড়িতে থাকেন। ক্যালেন্ডারের সঙ্গে তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এলাকায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচির তথ্যও জানিয়ে দেওয়াহচ্ছে।’’
সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে রাজ্য দফতর থেকে মেলা ২৫ হাজার ক্যালেন্ডার জেলার সব ব্লক ও পুরসভা এলাকায় বিলি করা হবে। ইতিমধ্যে ১০টি ব্লকে তা ভাল ভাবে চলছে। খুব শীঘ্র জেলার হলদিবাড়ি, মেখলিগঞ্জ এলাকায় ক্যালেন্ডার বিলি ঘিরে সাংগঠনিক কর্মসূচি নেওয়া হবে। ওই কর্মসূচিতে থাকার কথা জেলা যুব তৃণমূল সভাপতিরও।
যুব তৃণমূলের কোচবিহারের এক নেতার কথায়, ‘‘নতুন বছরের ক্যালেন্ডার সকলেরই কাজে লাগে। এ বার করোনা আবহে অনেকেই তা সংগ্রহ করতে পারেননি। ক্যালেন্ডার প্রাপকরা অনেকেই তাই খুশি হয়ে এমন বলছেন।’’ বিরোধীরা অবশ্য যুব তৃণমূলের ক্যালেন্ডার জনসংযোগকে আমল দিতে রাজি নয়। বিজেপির যুব মোর্চার কোচবিহার জেলা সভাপতি অজয় সাহা বলেন, ‘‘তৃণমূল মানুষের আস্থা হারিয়েছে। লোকসভা ভোটেই সেটা স্পষ্ট হয়েছে। তাই ক্যালেন্ডার বিলি করে আখেরে লাভ হবে না। মানুষের মন ওরা পাবেন না।’’
বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর জেলা কমিটির সদস্য শুভ্রালোক দাস বলেন, “ক্যালেন্ডার থেরাপি কোনও কাজ করবে না। ২০২১ সালে তৃণমূলের বিদায় ক্যালেন্ডার মানুষই তৈরি করবেন। সেটা ঠিক হয়ে রয়েছে।” তৃণমূল নেতৃত্ব ওই বক্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy