খোলা হয়েছে তৃহানা চা-ফ্যাক্টরী। ছবি স্বরূপ সরকার।
বাগান খুললেও, কাজে যাওয়া হল না শ্রমিকদের। অভিযোগ, ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের চুক্তির সিদ্ধান্তের কথা শ্রমিকদের জানানো হয়নি। যদিও চুক্তির বিষয়ে সবটা শুনে তার পরেই কাজে যেতে চান শ্রমিকেরা। তাতে অনেকটা সময় চলে গিয়েছিল বলে দাবি। সে জন্য সোমবার কাজে যোগ দেওয়া হল না তরাইয়ের শিলিগুড়ি মহকুমার ত্রিহানা চা বাগানের শ্রমিকদের। আজ, মঙ্গলবার থেকে তাঁরা কাজে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন।
চুক্তি অনুসারে, ২৪ মার্চের মধ্যে সাত শতাংশ এবং ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ শতাংশ বোনাস দেওয়া হবে। মালিক পক্ষের দাবি, ছ’শতাংশ বোনাস বাগান বন্ধের আগেই দেওয়া হয়েছিল। তা হলে মোট ১৮ শতাংশ বোনাস পাবেন শ্রমিকেরা। একই ভাবে বকেয়া দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু ২৪ মার্চের আগের দিনগুলি কী ভাবে চলবে! প্রশ্ন প্রমিলা ওঁরাও, জ্যোতি থাপাদের। প্রমীলার বক্তব্য, ‘‘চার মাস ধরে বাগান বন্ধের ফলে দিনমজুরের কাজ করতে হয়েছে। জমা টাকা নেই। বাগানের কাজে সঙ্গে সঙ্গে মজুরি দেওয়া হয় না। প্রায় মাস খানেক পরে বকেয়া দিলে, এই দিনগুলি চলবে কী ভাবে?’’
বাগান কর্তৃপক্ষের দাবি, চুক্তির কথা সবটাই শ্রমিকদের জানানো হয়েছে। ২৪ মার্চের আগেই যাতে আংশিক টাকা দেওয়া যায় সেই চেষ্টা হবে।
অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে ত্রিহানার অবসরপ্রাপ্ত বাগান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতার স্ত্রী সুক্রি মুন্ডার দাবি, পিএফ, গ্র্যাচুইটির কথা চুক্তিতে বলা নেই। তার পরেও শ্রমিকদের তাৎক্ষণিক সমস্যা মেটাতে বাগান খোলা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সে সমস্যা না মিটলে আগামী দিনে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের নানা সমস্যায় পড়তে হবে।
ত্রিহানার ম্যানেজার রাজেশ জোশি বলেন, ‘‘আজ, মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু হবে। চুক্তির বিষয়গুলি শ্রমিকদের জানাতে এ দিন অনেকটা সময় চলে গিয়েছিল তাই কাজ শুরু হয়নি।’’ আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্জল দে বলেন, ‘‘শ্রমিকদের স্বার্থে আমাদের লড়াই চলতে থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy