চলছে পারাপার। ফেরি ঘাটে। মহদিপুর। নিজস্ব চিত্র।
বাংলাদেশে অস্থিরতার আবহে মালদহের মহদিপুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত বাণিজ্যকেন্দ্র পথে পণ্য রফতানি অনেকটাই কমেছে। শুধু তা-ই নয়, মহদিপুর অভিবাসন কেন্দ্র বা চেকপোস্ট দিয়ে কমেছে যাত্রী পারাপারও। পণ্য রফতানি কমায় রফতানিকারকেরা আর্থিক ক্ষতির মুখে, কমেছে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ও। ২৯ নভেম্বর থেকে এই পথে ভিন্ রাজ্যের আলু বাংলাদেশে রফতানিও বন্ধ। তাতে ক্ষতির বহর বেড়েছে। বাংলাদেশের অস্থিরতার প্রভাব রফতানি বাণিজ্যে পড়তে পারে বলে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা।
মহদিপুর বাণিজ্যকেন্দ্র ও শুল্ক দফতর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হওয়ার পর থেকেই মালদহের মহদিপুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে পণ্য রফতানিতে প্রভাব পড়তে শুরু করে। আগে এই সীমান্ত পথে প্রতিদিন গড়ে ৪২৫টি ট্রাক ও-পারে যেত। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে কয়েকদিন এই পথে রফতানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। পণ্য রফতানি ৭০-৮০টি ট্রাকে নেমে আসে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরে ধীরে ধীরে রফতানি বাণিজ্য বাড়লেও, এখন এই সীমান্ত পথে দিনে গড়ে ৩০০ ট্রাক পণ্য নিয়ে ও পারে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে ফের অস্থিরতা শুরু হয়েছে বলে দাবি। এর ফলে, বাণিজ্য ফের কমায় ক্ষতির মুখে রফতানিকারকেরা। এ দিন ‘মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোশিয়েশন’-এর যুগ্ম সম্পাদক হৃদয় ঘোষ বলেন, “এই সীমান্ত-পথে রফতানি বাণিজ্যের জেরে সরকারের দিনে অন্তত ২৫-২৬ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হত। এখন তা ১০-১২ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। বাংলাদেশে এখন আবার অস্থিরতা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় রফতানি বাণিজ্য নিয়ে আমরা শঙ্কিত।” মহদিপুর বাণিজ্য কেন্দ্রের শুল্ক দফতরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট রতনকুমার রায় বলেন, “বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির জেরে এই পথে রফতানি বাণিজ্য অনেকটাই কমেছে।”
এ দিকে মহদিপুর অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে যাত্রী পারাপারও ক্রমশ কমে যাচ্ছে। অভিবাসন কেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে যেখানে এই সীমান্ত পথে দু’দেশের অন্তত ২০০-২৫০ যাত্রী পারাপার করতেন, এখন তা কমে ১০০-১২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার সে সংখ্যা ১০০ পেরোয়নি।
বাংলাদেশ থেকে আসা এক যাত্রী এই দিন বলেন, “নতুন করে ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রেও এখন নানা সমস্যা হচ্ছে।” কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এই দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে কেবল চিকিৎসার কারণে যাঁরা, এ দেশে আসতে চাইছেন, তাঁদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy