ফের বিপর্যস্ত সিকিম। —ফাইল চিত্র।
শীতের শুরুর বৃষ্টিতে আবার নতুন করে বিপর্যস্ত সিকিম। শনিবার সকাল থেকে গভীর রাত অবধি সিকিমের বিভিন্ন প্রান্তে বৃষ্টি হয়েছে। ঠান্ডার সঙ্গে ধসের জেরে ভোগান্তি বেড়েছে পর্যটকদের একাংশের। দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলাতেও হালকা বৃষ্টি চলছে।
গত শনিবার বিকালের পরে পেলিং যাওয়ার মুখে ৪ মাইল এলাকায় ধস নামে। পাহাড় থেকে পাথর নেমে গোটা রাস্তা আটকে যায়। বেশ কিছু পর্যটক-বোঝাই গাড়ি রাস্তায় আটকে পড়ন। বহু পর্যটক-বোঝাই গাড়িও ছিল। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রাস্তা খোলে। ঘটনাচক্রে, ধসের জেরে যানজটে আটকে ছিলেন আসানসোলের দু’টি পরিবার। কালিম্পং ঘুরে সিকিমের পেলিং ঘুরতে এসেছে একটি পরিবার। প্রায় ছ’ঘণ্টা রাস্তায় আটকে থাকার পরে তাঁরা রাত ১টায় পেলিংয়ের হোটেলে ঢোকেন। ওই পরিবারের এক জন বুদ্ধদেব বিশ্বাস বলেন, ‘‘রাতে রাস্তায় পড়ে থাকব কি না, বার বার ভাবছিলাম। পরে রাস্তা খোলে। খাবার শেষ হয়ে গিয়েছিল।’’
সিকিম প্রশাসন সূত্রের খবর, শনিবার লেগশিপ থেকে গেজিং-এর মাঝে ধস নেমেছিল। তা খোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে সিংতাম থেকে রংপোর মাঝে ২০ মাইলেও ধস ছিল। সেটাও সাফাই করা হয়েছে। তবে এলাকা দিয়ে একমুখী গাড়ি চলাচল করছে। ৫০টি করে গাড়ি উঠছে। পরে আবার ৫০টি করে গাড়ি নীচে নামতে দেওয়া হয়েছে। উত্তর সিকিম এখনও বন্ধ। ফলে লাচুং, লাচেন এ মরসুমে পর্যটকেরা কতটা যেতে পারবেন তাতে সংশয় রয়েছে। দক্ষিণ সিকিমের ইয়াংইয়াং থেকে টেমির রাস্তায় রবিবার ধস ছিল। পরে তা স্বাভাবিক হয়।
পশ্চিমবঙ্গের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের অংশে এ দিন বিরিকধারায় কাদামাটি, নুড়ি পাথর পড়ায় কিছুটা সমস্যা হয়। রাস্তা বন্ধ না-করে একমুখী গাড়ি চালানো হয়েছে। দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, মিরিক, কালিম্পঙে বেশির রাতের দিকেই নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় সকাল থেকে রাস্তার পরিস্থিতি কোথাও কোথাও খারাপ হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী কয়েক দিন পাহাড় এবং পাদদেশের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত বিক্ষিপ্ত ভাবে চলতে পারে। রবিবারের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, সিকিমের ছাঙ্গু, নাথু লা-র মতো এলাকাগুলিতে হালকা তুষারপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতি আগামী কয়েক দিন চলতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy