—ফাইল চিত্র।
কলেজে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে তৃণমূলের এক ছাত্র নেতা টাকা নিলেও ভর্তি করাতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। পরে আসন খালি হওয়ায় কলেজে ভর্তি হতে পেরেছিলেন ওই ছাত্র। কিন্তু ভর্তির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে দিন কয়েক আগে তা নিয়ে বিবাদ বাধে। তার জেরে সোমবার ওই ছাত্রকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে মালদহের চাঁচল কলেজের ঘটনা। টিএমসিপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাবু সরকার দলবল নিয়ে বিএসসি প্রথম বর্ষের ওই ছাত্র রবিউল বাবরকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। আহত বাবরকে চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসাকে করে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে টিএমসিপি নেতাদের নামে পুলিশে অভিযোগ জানান প্রহৃত ছাত্র বাবর। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিএমসিপি। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চাঁচলের আইসি সুকুমার ঘোষ।
পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে ভর্তির টাকা ফেরত চাওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে বাবর পালিয়ে লাগোয়া কংগ্রেস পার্টি অফিসে আশ্রয় নেন। এরপর কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের কর্মীরা তাঁর পাশে দাঁড়ায়। কলেজে ভর্তির পর এ দিন সংখ্যালঘুদের জন্য ফর্ম জমা দিতে কলেজে যান বাবর। কিন্তু তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ফিরে যাওয়ার সময় আচমকাই দলবল নিয়ে বাবু তার উপরে চড়াও হয়ে লোহার রড দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ বাবরের। বাবর এ দিন বলেন, ‘‘অন্যরা ছুটে না আসলে ওরা আমাকে মেরেই ফেলত। পুলিশকে সব জানিয়েছি।’’
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে এ দিন বাবু বলেন, ‘‘লাইন ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করায় অন্যরা ওকে সরিয়ে দেয়। ওকে কেউ মারধর করেনি। সামনে নির্বাচন। তাই ছাত্র পরিষদ বদনাম করতেই এ সব করছে। ভর্তির জন্য ওর কাছ থেকে কেউ টাকা নেয়নি।’’ কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের চাঁচল-১ ব্লক সভাপতি মহম্মদ হাসান বলেন, ‘‘ছাত্রদের সাহায্য করাই ছাত্র সংগঠনের কাজ। কিন্তু এ দিন টিএমসিপি যা করল তা লজ্জার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy