অবিলম্বে শিলিগুড়ি শহরে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধের দাবি তুলল তৃণমূল। রবিবার পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাঘা যতীন পার্ক থেকে পুরসভার মিছিলে তাঁরা অংশ নেননি। কাছারি রোডে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। ওই অফিসে একটি প্রাচীন গাছ কেটে ফেলা হলেও পুরসভা বাধা দেয়নি বলে অভিযোগ। বিরোধী তৃণমূলের কাউন্সিলর নিখিল সহানি তা নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে তদন্ত দাবি করলেও কিছু করা হচ্ছে না বলে তাঁরা সরব হন। বিরোধী দলনেতা নান্টু পালের অভিযোগ, ‘‘মেয়র শহরের পরিবেশ রক্ষার্থে ব্যর্থ। শহর জঞ্জালে ভরে গিয়েছে। প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। শহরের মধ্যে বিনা অনুমতিতে গাছ কাটা হচ্ছে। অথচ পুরসভা বিষয়গুলি দেখছে না।’’
এ দিন সকালে কাছারি রোড ধরে পুরসভার পরিবেশ দিবসের মিছিল গেলে বিরোধী দলনেতা নান্টু পাল, তাদের কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার, কাউন্সিলর নিখিল সহানির মতো দলের কাউন্সিলরদের একাংশ এবং কর্মীরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। মেয়রের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে স্লোগান দেন। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিরোধীরা ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছেন। উন্মাদের মতো আচরণ করছেন।’’ তবে তিনি আশ্বাস দেন, প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘বিভিন্ন এলাকায় আচমকা পুরসভার দল নজরদারি চালাবে। কোথাও প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে দেখলে ক্রেতা বিক্রেতাদের জরিমানাও করবে।’’ মেয়র জানিয়েছেন, নদী দূষণ, শহরে যান চলাচল থেকে বায়ূ দূষণের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের মতো পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে তিনি বেশ কিছু মিটিং ডেকেছেন। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কর্তাদের নিয়ে সেচ দফতরের সঙ্গে বৈঠক করবেন নদী দূষণের বিষয়টি ঠেকাতে। ট্রাফিক সমস্যার বিষয়টি নিয়েও তিনি বৈঠক করবেন। গাছ কাটার অনুমতি পুরসভা দেয় না। বিষয়টি বন দফতরের দেখা উচিত।
আগের পুরবোর্ডের আমলে পরিবেশ বিভাগের তৎকালীন মেয়র পারিষদ সুজয় ঘটক শিলিগুড়ি শহর প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত করতে উদ্যোগী হন। সেই চেষ্টার ফলে ২০১০ সালে শিলিগুড়িকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত শহর বলে ঘোষণা করা হয়। তা শহরবাসীর গর্বের কারণ হয়ে ওঠে। রাজ্যের বাইরেও তার জন্য শিলিগুড়ি প্রশংসিত হয়েছে। অথচ সেই সুনাম কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নষ্ট করতে সচেষ্ট বলে অভিযোগ। পরিবেশ দিবসে তাই শহরের সেই সুনাম রক্ষার দাবি উঠেছে। পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরেই প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে অভিযান শুরু হয়েছে। লাগাতার অভিযান চলবে।’’ নান্টুবাবু বলেন, ‘‘মেয়র কোনও কাজই ঠিক মতো করতে পারছেন না। তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সমস্যা মেটেনি। শহরের মধ্যে বিনা অনুমতিতে গাছ কাটা হচ্ছে। বিষয়টি বন দফতরের হলেও বিষয়টি পুরসভার তরফে নজরদারি করা উচিত। বিশেষ করে কাউন্সিলর যখন বোর্ড মিটিংয়ে তদন্ত চেয়েছেন।’’
এ দিন মিছিলে মেয়র, ডেপুটি মেয়র রাম ভজন মাহাতো, মুকুলবাবু-সহ মেয়র পারিষদদের একাংশ উপস্থিত থাকলেও তাঁদের কাউন্সিলরদের অনেকেই ছিলেন না। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। নিখিলবাবু বলেন, ‘‘একটি বহু পুরনো গাছ সহ আরও কিছু গাছ পুলিশের ওই অফিস চত্বর থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। কে বা কারা কেটেছে আমরা তার তদন্ত দাবি করছি। ওই দাবিতে আন্দোলন চলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy