—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর দেড় মাসও কাটেনি। রায়গঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলের নিরিখে রায়গঞ্জ পুরসভা এলাকায় ঘুরে দাঁড়াল তৃণমূল। দলের এই অনুকূল পরিস্থিতিতে, রাজ্য সরকার কবে রায়গঞ্জ পুরসভা ভোট ঘোষণা করবে, তৃণমূলের অন্দরে সেই প্রশ্নে চর্চা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। পুরসভার তৃণমূলের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সন্দীপ বিশ্বাসের দাবি, “দল যে কোনও সময়ে রায়গঞ্জ পুরসভা ভোটে লড়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।”
বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলের নিরিখে রায়গঞ্জ পুর-এলাকায় তৃণমূল বিজেপির থেকে প্রায় ২৬ হাজার ভোটে এগিয়ে। শহরের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১ নম্বর বাদে বাকি সব ওয়ার্ডে তৃণমূল ‘লিড’ পেয়েছে। অথচ, মাস দেড়েক আগে লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে রায়গঞ্জ পুর এলাকায় বিজেপি তৃণমূলের থেকে ২১,৪১৩ ভোটে এগিয়ে ছিল। ওই ভোটে শহরের সব ওয়ার্ডেই তৃণমূল পিছিয়ে ছিল।
রায়গঞ্জ শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি তথা প্রাক্তন পুর প্রতিনিধি আদেশ মাহাতোর দাবি, উন্নয়নের স্বার্থে রায়গঞ্জ শহরের মানুষ এ বারের উপনির্বাচনে তৃণমূলকে ঢেলে ভোট দিয়েছেন। আদেশ বলেন, “দলের এমন অনুকূল পরিস্থিতিতে এখন পুরসভা ভোট কবে হবে, সেটাই অনেকে জানতে চাইছেন।” উপনির্বাচনে বিজেপির পরাজিত প্রার্থী মানসকুমার ঘোষ ও উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তুষার গুহের অভিযোগ, উপ নির্বাচনে রায়গঞ্জ শহরের বেশির ভাগ বুথে তৃণমূল ছাপ্পা-ভোট দিয়ে শহরে ‘লিড’ পেয়েছে। তুষার বলেন, “নির্বিঘ্নে ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট হলে তৃণমূল পুরসভার সব ওয়ার্ডে হারবে।”
এ প্রসঙ্গে সন্দীপের পাল্টা দাবি, “রায়গঞ্জে উপ নির্বাচনে তৃণমূল ছাপ্পা-ভোট দিলে শহরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের বুথে কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত এগিয়ে থাকতেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy