Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

বিজেপির মোকাবিলায় পথে তৃণমূল

জেলা সভাপতি গৌতম দেবের নেতৃত্বে জেলা কমিটির বৈঠক ছাড়াও গত কয়েদিনে একাধিক ছোট ছোট ঘরোয়া বৈঠক হচ্ছে। সেই সঙ্গে গ্রাম থেকে শহরের নেতানেত্রীদের নিয়ে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়াতে গৌতমবাবুর নেতৃত্বেই জনসংযোগ যাত্রার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:০৬
Share: Save:

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ পৌঁছেছিলেন শিলিগুড়ির গ্রামীণ এলাকা খড়িবাড়িতে। সম্প্রতি মুকুল রায় গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে দু’দফায় ঘুরে গিয়েছেন শিলিগুড়িতে। গত সপ্তাহে তাঁর হাত ধরেই ডাবগ্রাম এলাকার দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেত্রী শিখা চট্টোপাধ্যায় এখন বিজেপি’তে। এ ছাড়াও শহর এবং গ্রামের কিছু বিক্ষুব্ধ নেতানেত্রীর সঙ্গে বিজেপির দূরত্ব কমতেই সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল।

জেলা সভাপতি গৌতম দেবের নেতৃত্বে জেলা কমিটির বৈঠক ছাড়াও গত কয়েদিনে একাধিক ছোট ছোট ঘরোয়া বৈঠক হচ্ছে। সেই সঙ্গে গ্রাম থেকে শহরের নেতানেত্রীদের নিয়ে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়াতে গৌতমবাবুর নেতৃত্বেই জনসংযোগ যাত্রার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তেমনিই, জেলার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এলাকার দায়িত্ব দিয়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপির মোকাবিলা করতে চাইছে শাসকদল।

দলীয় সূত্রের খবর, জানুয়ারির মাসের পর গৌতমবাবু ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকা থেকে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করবেন। তারপরে তা হবে শিলিগুড়ির খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, মাটিগাড়া ও নকশালবাড়িতে। মহকুমা পরিষদ নির্বাচনের আগেও গৌতমবাবু-সহ জেলার নেতারা গ্রামীণ এলাকায় ঘোরেন। রাতে গ্রামবাসীদের বাড়িতে থেকে তাঁদের কথা শোনেন। মহকুমা পরিষদে লড়াইটা কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে দীর্ঘদিন সীমাবদ্ধ থাকলেও এ বার পরিষদের প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল। বহু এলাকায় প্রথমবার পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিও তৃণমূলের দখলে আসে।

আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসের পরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হওয়ার কথা। এরমধ্যে শিলিগুড়িতে পুরভোট ও বিধানসভা ভোটে সিপিএমের কাছে হেরে ‘ব্যাকফুটে’ জেলা নেতৃত্ব। দলীয় কোন্দল ভুলে একজোট হয়ে দল চালানোর বার্তাও দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্ব। দায়িত্ব ভাগ করার জন্য কৃষ্ণ পাল, নান্টু পাল, রঞ্জন সরকার এবং রঞ্জন শীলশর্মাদের নিয়ে কোর কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত থেকে পুরসভা, লোকসভা পর্যন্ত শিলিগুড়িতে দলের পরিস্থিতি পাল্টানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে।

মন্ত্রী তথা জেলা সভাপতি গৌতমবাবু বলেন, ‘‘আমরা আবার মানুষের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গ্রাম, শহরে জনসংযোগ যাত্রা করা হবে। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি দিয়ে তা শুরু হয়েছে। মানুষের অভাব, অভিযোগ সমস্যা শুনে তাঁদের পাশে থাকব।’’ তিনি জানান, দলের সব নেতানেত্রীদেরও এতে সামিল হতে হবে। সবাই একজোট হয়ে কাজ করে বিরোধী শক্তির মোকাবিলা করা হবে।

জেলার কয়েকজন নেতা জানান, বিজেপির বাড়বাড়ন্তের কথা মাথায় রেখেই সংগঠনকে শক্তিশালী রাখার চেষ্টা করতে হবে। বসে যাওয়া নেতানেত্রীরা যাতে অন্য দলে না যান, তাই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো, দলীয় কর্মসূচিতে সামিল করার প্রক্রিয়া চলছে। আবার যে সমস্ত এলাকায় গোষ্ঠী কোন্দল বা নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে সেখানে, দু’পক্ষকে ডেকে বৈঠক করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে। তেমনিই, মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন তুলে ধরা হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy