শুক্রবার বিকেলে ইসলামপুরের গোলঘরে করিম চৌধুরী। ইসলামপুরে। —নিজস্ব চিত্র
‘একা’ করিম রক্ষা করেন ইসলামপুর।
সকাল থেকেই মন ভাল ছিল না তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর। শোওয়ার ঘর থেকে বেরই হননি। বাড়িতেই পড়েছেন জুমার নামাজ। তিনি জানান, শুধুমাত্র এলাকার অশান্তি ঠেকাতেই এই প্রথম শহিদ সভার অনুষ্ঠানে যেতে পারলেন না। তবে চোখ সরেনি টিভির পর্দা থেকে। বিকেলে অবশ্য গোল ঘরে বসেই কিছুটা সময় কাটালেন। করিমের কথায়, ‘‘ভাল-খারাপ অনেক কিছুই সহ্য করার শক্তি রাখতে হয়।’’ আবার অসুস্থতার কারণে অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানও। দুই বিধায়কের কলকাতা না যাওয়া নিয়েও চর্চা চলছে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মধ্যে।
করিম জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। ১৯৯৩ সালের পরে যুব কংগ্রেস থেকে যখন শহিদ দিবস পালন হত তখনও তিনি যেতেন। তৃণমূল গঠনের পর থেকে লাগাতার এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। কাজেই এ বারে না যেতে পেরে মন ভাল নেই বলেই দাবি করিমের। বলেন, ‘‘প্রতিবারই যাই। তবে দু’বছর করোনার কারণে অনুষ্ঠান হয়নি। এত বড় সমাবেশ কোথাও হয় না। টিভিতেই দেখলাম, কত লোক ছুটে গিয়েছেন দিদির কথা শুনতে। তবে আমি দুঃখিত যে এ বছর আমি ওই কর্মসূচিতে যেতে পারলাম না।’’ বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানাবেন। তাঁর কথায়, ‘‘ইসলামপুরে আগডিমঠিখুন্তি এলাকায় অশান্তি জারি রয়েছে। অনেকেই বাড়ি ঢুকতে পারছেন না।’’ এলাকার ‘পাহারাদার’ হিসেবেই থেকে গিয়েছেন, দাবি করিমের।
অপরদিকে গত ১১ জুলাই ভোট গণনা কেন্দ্রে ঢোকার সময় পুলিশ ও কেন্দ্র বাহিনীর লাঠির আঘাতে আহত হন হামিদুল রহমান। সে সময় তাঁকে ইসলামপুর থেকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। ছুটি পেয়ে বাড়ি গেলেও এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি হামিদুল। জানান, চোপড়া থেকে এলাকার নেতাকর্মীরা গিয়েছেন। একমাত্র তিনি থেকে গিয়েছেন কেবল শারীরিক অসুস্থতার কারণেই। সকাল থেকে তাই নিজের ঘরে বসেই টিভি দেখেছেন।
হামিদুল বলেন, ‘‘চিকিৎসকেরা নিষেধ করেছেন, এই মুহূর্তে কোনও কর্মসূচিতে যোগ দিতে। বেশি দৌড়-ঝাঁপ হলে নাক থেকে রক্তক্ষরণহতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy