(বাঁ দিক থেকে) মৃত পড়ুয়া উত্তম মার্ডি এবং মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। — নিজস্ব চিত্র।
মালদহে মেধাবী ছাত্র উত্তম মার্ডির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পিছনে বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন এবং সিনিয়র পড়ুয়ারা জড়িত বলে অভিযোগ স্থানীয় বিধায়কের। মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সীর দাবি, “পড়ুয়ার নামাবলী গায়ে জড়িয়ে যে সমস্ত পড়ুয়ারা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে, তাঁদের ফাঁসি চাই!”
সোমবার সকালে উত্তমের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন উত্তম। তার জেরে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। পরিস্থিতি এমন হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে মালদহের বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। তার পরেই নিজের বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। উত্তমের দিদি পাঞ্চালির অভিযোগ, র্যাগিংয়ের শিকার হয়েই নিজেকে শেষ করে দেন উত্তম। এ বার এই প্রসঙ্গেই আরও বিস্ফোরক দাবি করলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের সভাপতি। আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, ‘‘প্রাক্তনী আছে, তার সঙ্গে আছে কিছু নতুন নতুন পড়ুয়া। আবারও বলছি, যাঁরা সিস্টেম ব্রেক করতে চায়, শিক্ষার পরিবেশকে যাঁরা কলুষিত করতে চায়, প্রাক্তনীদের সঙ্গে সঙ্গে আরও কিছু লোকজন আছেন, যাঁরা মদত দেন, তাঁদের খুঁজে বার করতেই হবে। প্রশাসন খুঁজে বার করুক প্রকৃত দোষী কারা আছেন। এমন কিছু ছেলে আছে, যাঁরা কলেজে থেকে গিয়েছে। তাঁরাই সিস্টেমকে ভেঙে ফেলতে চায়। যাঁরা ভাল এবং মেধাবী ছাত্রদের খুঁজে বার করে তাঁদের উপর অত্যাচার করেন। তাঁদের ফাঁসি চাই। যাতে আগামী দিনে গ্রামবাংলার পড়ুয়ারা নির্ভয়ে পড়াশোনা করতে পারেন। তাঁদের মা-বাবাকে যাতে এ রকম কোনও ঘটনার মধ্যে দিয়ে যেতে না হয়।’’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে নদিয়ার বাসিন্দা এক পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তাঁকে র্যাগিং করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে পুলিশ এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রাক্তনী এবং সিনিয়র পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে সিনিয়র এবং প্রাক্তন পড়ুয়াদের র্যাগিংয়ের মুখে পড়েছিল মৃত পড়ুয়া। এ বার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও উঠল কার্যত একই ধরনের অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy