বিধায়কের কথায়, ‘‘সত্যিকারে তৃণমূলে থাকলে কেউ দল ত্যাগ করত না। পদের লোভে দলে নাম লেখাত না। তাই এদের সামাজিক বয়কট করতে হবে।’’ —নিজস্ব চিত্র।
দলের ‘বিপদে’ পালালে আর ‘বন্ধু’ কিসের। দলত্যাগী তৃণমূল কর্মীদের সামাজিক বয়কটের নিদান দিলেন তৃণমূল সভাপতি তথা মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী।
মঙ্গলবার মালদহের কালিয়াচকের যদুপুরে জনসভা করেন আব্দুর। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘১০ বছর দলের সমস্ত কিছু ভোগ করল। আর দলের বিপদের সময় দল ছেড়ে পালিয়ে গেল!’’ বিধায়কের সংযোজন, ‘‘সত্যিকারে তৃণমূলে থাকলে কেউ দল ত্যাগ করত না। পদের লোভে দলে নাম লেখাত না। তাই এদের সামাজিক বয়কট করতে হবে বন্ধু। যে পথে হাঁটবে ধিক্কার দিতে হবে। যে পথে চলবে থুতু ফেলবেন। আপনাদের কাছে এই আবেদন থাকবে।’’
কিছু দিন আগে কংগ্রেস, সিপিএমকে ধরে ‘আচ্ছা করে দাওয়াই’ দেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন ওই তৃণমূল বিধায়ক। তবে তাঁর নয়া নিদান নিয়ে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি নন। পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র কৌস্তভ বাগচীকেও আক্রমণ করেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর। বলেন, ‘‘বাগচীবাবু এখানে এসেছিলেন মাথায় গামছা দিয়ে। আমি থাকলে ওঁর গামছা টেনে খুলে দিতাম। বলতাম মাথা ন্যাড়া কেন?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘হিন্দু সমাজে বাবার শ্রাদ্ধের জন্য মাথা ন্যাড়়া হয়। গ্রামে কোনও চোর ধরা পড়লে তার মাথা ন্যাড়া করা হয়। প্রথম বার তোমাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এর পর মালদহের মানুষ তোমাদের ছেড়ে কথা বলবে না। তুমি জেনে রাখো।’’
এ নিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা ঈশা খান চৌধুরী বলেন, ‘‘আসলে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই এই সব হুঙ্কার দিচ্ছে। সময় আসছে। মানুষই এর জবাব দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy