গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দল ছাড়ার ইচ্ছা প্রকা করলেন তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির বেশ কিছু দিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে বেসুরো। আগেই যাবতীয় দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। সেই সময়েই জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেলে বিধায়ক পদও ছেড়ে দেবেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দলনেত্রী তাঁকে কিছু না বলায় তিনি দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চান বলে বৃহস্পতিবার ফেসবুকে পোস্ট করে জানালেন মিহির। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, '২২ বছর আগে যে দলটির সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম, আজকের তৃণমূল সেই দল নয়। এই দলে আমার জায়গা নেই। তাই আজ এই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমার যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাই'।
মিহির যে তৃণমূলের সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখতে চাইছেন না তা বেশ কিছু দিন ধরেই নানা ভাবে বুঝিয়েছেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তা লিখতে শুরু করেন। কালীপুজোর পরে পরে গত ১৭ নভেম্বর তিনি লেখেন, ‘আমার দল আর আমার নেত্রীর হাতে নেই, অর্থাৎ এই দল আর আমার নয়, হতে পারে না। শ্যামা মায়ের আরাধনালগ্নে আমার এই অনুমান আরও দৃঢ় হয়েছে। তাই এই দলের সঙ্গে সমস্ত রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করাটাই কি স্বাভাবিক নয়’? এর পর বৃহস্পতিবার ছিন্ন করার বার্তা দিলেন।
তাঁকে দলের সঙ্গে নিয়ে আসার জন্য কম চেষ্টা করেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। গত ৩ অক্টোবর তিনি দলের সমস্ত সাংগঠনিক পদ থেকেও ইস্তফা দেন। এর পর থেকেই শুরু হয় নানা জল্পনা। এ সবের মধ্যেই তাঁর বাড়িতে দেখা করতে যান কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। যা জল্পনায় ঘৃতাহুতি হয়ে ওঠে। পাশাপাশি দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মিহির। নিশীথের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে মিহিরের কোচবিহারের বাড়িতে যান রাজ্যের দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ। কিন্তু দেখা হয়নি। জানা যায়, বিধায়ক আলিপুরদুয়ারে বোনের বাড়িতে গিয়েছেন বলে মন্ত্রীদের জানান মিহিরের স্ত্রী। দুই মন্ত্রী আলিপুরদুয়ারে গিয়ে জানতে পারেন সকালে মিহির সেখানে এলেও পরে অসমের কোকরাঝাড়ে আরেক বোনের বাড়িতে গিয়েছেন। এর পর মন্ত্রীরা আর অসমে যাননি।
তিনদিন আগেও এক দফা চেষ্ট চালায় তৃণমূল। মঙ্গলবারই মিহিরের বাড়িতে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রায় ৪০ মিনিট একান্তে বৈঠক করেন রবীন্দ্রনাথ। তার পরেও মিহিরের ‘অভিমান’ যে দূর হয়নি সেটাই স্পষ্ট হলে বৃহস্পতিবারের ফেসবুক পোস্টে। এই পোস্ট দেখেও কোনও মন্তব্যে নারাজ রবীন্দ্রনাথ। তিনি বলেন, "মিহিরবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় কী পোস্ট করেছেন তা আমি দেখেছি। এ বিষয়ে যা বলার রাজ্য নেতৃত্ব বলবে।"
মিহিরের এই বার্তা নিয়ে তৃণমূলের কোচবিহারে জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, "মিহিরবাবু আমাদের দলের প্রতীকে জেতা জনপ্রতিনিধি। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস অর্থাৎ আমাদের দলেই আছেন, মিহিরবাবু সোশ্যাল মিডিয়ায় কী বলেছেন সেটা বিষয় নয়। আমাদের টিকিটে জেতা জনপ্রতিনিধি উনি, যতদিন বিধায়ক আছেন ততদিন আমাদের দলের লোক।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy