মলয়ের সঙ্গে হাইকোর্টের বিচারপতি আরকে কপুর। নিজস্ব চিত্র
সামনে ফালাকাটার উপনির্বাচন। এ বছরই আলিপুরদুয়ারে পুরভোটও হওয়ার কথা। এই অবস্থায় জেলা পর্যবেক্ষকের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দলীয় কোন্দলের ছবিই বেরিয়ে পড়ল। জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, মলয় ঘটকের সামনে ওই বৈঠকে আলিপুরদুয়ারের নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিতে শুরু করেন। তাতে অস্বস্তিতে পড়েন জেলা নেতৃত্ব।
শনিবার বেলা বারোটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার শহরে তৃণমূলের জেলা কার্যলয়ে বৈঠক করেন দলের জেলা পর্যবেক্ষেক মলয় ঘটক। প্রথমে দলের ছাত্র, যুব ও মহিলা নেতা-কর্মী ও পরে পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মলয়বাবু। পরে বৈঠক শেষে মলয় অবশ্য দলীয় কোন্দল নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘দলীয় বৈঠক নিয়ে কিছু বলব না।’’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক জেলা নেতা জানান, ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে পুরনো-নতুন উভয় কর্মীকেই গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের সংশ্লিষ্ট সভাপতিরা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে কমিটি গঠন করবেন— তা স্পষ্ট ভাবে বলা হয়। বেশ কয়েক জন ব্লক নেতা বৈঠকে অনুযোগের সুরে জানান, এক নেত্রী ব্লক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বিভিন্ন এলাকায় বৈঠক করছেন। ওই নেত্রীকে সমন্বয় রেখে বৈঠক করার কথাও এ দিন বলেন জেলা নেতারা।
এ দিন সংগঠনের বৈঠকের পর জেলা নেতৃত্ব ও পর্যবেক্ষক পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেখানে পুরভোটের পর পুরসভার চেয়ারম্যান কে হবেন, তা নিয়ে দলের দুই নেতার মধ্যে চাপানউতোর চলে। শহরের একটি ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তাঁর ওয়ার্ডের এক নেতার নামে দলীয় কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ জানান। তৃণমূল সূত্রে খবর, দলীয় কর্মীদের ছোট ছোট কর্মিসভা ও প্রচারে জোর দেওয়া কথা বলা হয় বৈঠকে।
চাপানউতোরের বিষয়টি অবশ্য মানতে চাননি তৃণমূলের আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি মৃদূল গোস্বামী। তিনি জানান, ‘‘বৈঠকে সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে এ ধরনের কোনও বির্তক হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy