কুণালকান্তি রায়কে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
বন্যাত্রাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক তৃণমূল নেতাকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করল উত্তেজিত জনতা। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পাচলা এলাকায় শুক্রবার ওই ঘটনাকে ঘিরে তেতে ওঠে এলাকা। ওই তৃণমূল নেতা কুণালকান্তি রায় আবার পঞ্চায়েত সদস্য পম্পা রায়ের স্বামী। কুণালকে স্থানীয় বাসিন্দাদের গণপিটুনির হাত থেকে উদ্ধার করতে যায় পুলিশ। তখন বাসিন্দাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, হাতাহাতি বেঁধে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
বন্যাত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির তদন্তে নেমে এর মধ্যেই একাধিক ভুয়ো উপভোক্তা ও তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে একশো দিনের কাজের পরিদর্শক মামুদ আলিকেও। কিন্তু মূল অভিযুক্ত প্রধান ও তৃণমূল নেতা আফসার আলি এখনও অধরা। তাঁদের গ্রেফতার না করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগে এমনিতেই গোটা এলাকা তেতে রয়েছে। তার পর এ দিন চায়ের দোকানে কুনালকে দেখতে পেয়ে শুরু হয় মারধর। হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, ‘‘কাউকে অযথা হেনস্থা করা হচ্ছে না। তদন্তের ভিত্তিতেই পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে।’’
প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ অনুদান বরুই পঞ্চায়েতের প্রকৃত দুর্গতদের এখনও মেলেনি। এ নিয়ে প্রশাসনে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তৎকালীন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান। মাস দুয়েক আগে তদন্ত শেষে এফআইআর করেন বিডিও অনির্বাণ বসু। তার পরেই পুলিশ তদন্তে নেমে ধরপাকড় শুরু করে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, নেতা, সদস্যদের ধরা হচ্ছে না। অথচ সাধারণ মানুষকে হয়রান করা হচ্ছে। অনেকের নামে যে একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে, তা তাঁরা জানতেন না। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ জামান, নারায়ণ দাসরা জানান, পুলিশ প্রকৃত দোষীদের খুঁজে পাচ্ছে না। তাই এ দিন সদস্যার স্বামীকে দেখতে পেয়ে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আটকে রাখেন বাসিন্দারা।
প্রহৃত কুণালকান্তি রায় বলেন, ‘‘আমি বা আমার স্ত্রী কোনও দুর্নীতি করিনি। যা করার প্রধান, তাঁর স্বামী ও নেতাদের কয়েক জন মিলে করেছে।’’ হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাস বলেন, ‘‘আইন আইনের পথেই চলবে। তার পরেও বিরোধীদের উস্কানিতেই কুণালকে মারধর করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy